করোনায় মূর্তি ক্রাইসিস, ভোর রাতে মণ্ডপ থেকে চুরি গেল বাহন সমেত বিশ্বকর্মা!
মহালয়ার সকালে হাজির হন মণ্ডপের সামনে। কিন্তু তাজ্জব কাণ্ড! মণ্ডপে নেই বিশ্বকর্মার মূর্তি।
তন্ময় প্রামাণিক : করোনা পর্বে মূর্তির ক্রাইসিস ছিলই, আর তাতেই ঘটে গেল নজিরবিহীন ঘটনা। মণ্ডপ থেকে ভোর রাতে চুরি হল দশাসই বিশ্বকর্মা মূর্তি ! বৃহস্পতিবার সকালে মাথায় হাত উদ্যোক্তাদের।
দশাসই চেহারার বিশ্বকর্মার মূর্তি। আর সেটাই কিনা চুরি গেল সাতসকালে? লোকে শুনেছে সাইকেল চুরি, বাইক চুরি, গাড়ি চুরি, গরু চুরি, ছেলে চুরির ঘটনা বা গালগল্প। তাই বলে সাজানো মণ্ডপ থেকে সাজানো বাহন হাতিসহ বিশ্বকর্মাকে চুরি? বৃহস্পতিবার, পুজোর দিন মহালয়ার ঠিক পরেই বরানগর টবিন রোডের ৬৫ বছরের পুরোনো বিশ্বকর্মা পুজো কমিটির তেমনই অভিজ্ঞতা হল। এই প্রথম এমন অভিজ্ঞতায় হতভম্ব উদ্যোক্তারা।
টবিন রোডের উপর ২০ নম্বর রিক্সা স্ট্যান্ডের পুজো। বুধবার রাত্রি ২টো নাগাদ মণ্ডপসজ্জা, মণ্ডপে মূর্তি বসানো, মূর্তি সাজানোর সব কাজ শেষ করে উদ্যোক্তারা বাড়ি ফিরে যান। মহালয়ার সকালে হাজির হন মণ্ডপের সামনে। কিন্তু তাজ্জব কাণ্ড! মণ্ডপে নেই বিশ্বকর্মার মূর্তি। গেল কোথায়? খোঁজ খোঁজ রব চারিদিকে। বিষয়টি জানানো হয় পুলিসকেও।
উদ্যোক্তাদের তরফে মুখার্জি বলেন, "টালা থেকে ডানলপ পর্যন্ত এ বছর পুজোর তুলনায় তৈরি হওয়া মূর্তির সংখ্যা কম। করোনা পর্বে লকডাউন চলার কারণে মূর্তি যাঁরা তৈরি করেন, তাঁরা বিক্রি না হওয়ার ভয়ে কম সংখ্যক মূর্তি তৈরি করেছেন। আর আমরা যাঁরা পুজো করি তাঁরা আদৌ পুজো করা সম্ভব কিনা এই নিয়েও দোলাচলে ছিলাম। অন্য বছরের মতো মূর্তির জন্য আগাম বায়না করিনি। আমরা পুজোর আগের দিন মূর্তি কিনে এনেছি। আমাদের মনে হচ্ছে এবছর অনেকেই মূর্তি পাননি। তাই মূর্তি চুরি করা হয়েছে।"
আরেকজন রিকশাচালক গৌড় দাস বলেন, "অনেক কষ্ট করে আমরা চাঁদা দিয়ে পুজো করি প্রতিবছর। ১৪০০ টাকায় এই মূর্তিটা আমরা কিনেছিলাম। চুরি হওয়ার পর আমরা একটা ছোট মূর্তি ৪০ টাকা দিয়ে কিনে এনে সেটা বসিয়ে পুজো করলাম।" স্থানীয় ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দারাও এই ঘটনায় হতচকিত। কস্মিনকালে এমন ঘটনা ঘটেছে কি না, কেউ মনে করতে পারছেন না।
আরও পড়ুন, খাওয়াদাওয়া বাদ, কোভিড পরিস্থিতিতে 'নমো নমো' করে নবান্নে সারা হল বিশ্বকর্মা পুজো