Panchyet Vote: পঞ্চায়েত ভোটে চাই কেন্দ্রীয় বাহিনী, দলের পর্যবেক্ষকদের কাছে আবদার রাজ্য বিজেপির
আজকের বৈঠকে দলের নেতাদের কড়া বার্তা দেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। নিশানায় বিক্ষুব্ধরা। সাফ জানিয়ে দেওয়া হল, দল যে দায়িত্ব দেবে সেটাই মানতে হবে। দায়িত্ব বন্টন নিয়ে কোনও ক্ষোভ থাকলে তা প্রকাশ্যে একেবারেই যাবে না
কমলাক্ষ ভট্টাচার্য: কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপেই হয়েছিল গত বিধানসভা নির্বাচন। এবার আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচন সেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরদারিতেই করার পক্ষে রাজ্য বিজেপি। রবিবার আইসিসিআর-এ বিজেপির বৈঠকে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকদের কাছে এমনটাই আবেদন জানালেন রাজ্য বিজেপি নেতারা। কেন্দ্রীয় নেতা মঙ্গল পাণ্ডের কাছে ওই আবেদন রেখেছেন শুভেন্দুরা। এমনটাই সূত্রের খবর। প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোটের আগে সংগঠনের খামতি দূর করতে আইসিসিআর-এ শুরু হয়েছে বিজেপির ২ দিনের বৈঠক। রবিবার ছিল প্রথম দিন। সেই বৈঠকে বঙ্গ বিজেপির বিধায়করা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বর কাছে আবেদন করেছেন পঞ্চায়েত ভোটেও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে এখন থেকেই উদ্যোগ নেওয়া হোক।
আরও পড়ুন-ফের ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস, জেনে নিন সোমবার থেকে কেমন থাকবে আবহাওয়া
উল্লেখ্য, বিধানসভা নির্বাচনের অনেক আগে থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর পক্ষে সওয়াল করেছিল রাজ্য বিজেপি। তাদের যুক্তি ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী না হলে তাদের প্রার্থীদের পক্ষে তৃণমূলের সঙ্গে এঁটে ওঠা কঠিন। শেষপর্যন্ত রাজ্যে কেন্দ্রের বাহিনীর নজরদারিতেই ভোট হয়েছিল। এবার পঞ্চায়েত ভোটেও সেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর দিকেই তাকিয়ে গেরুয়া শিবির।
কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে বিজেপি বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ বলেন, মীরা পাণ্ডে সময়ে ৪০০ কেন্দ্রীয় বাহিনী এখানে পাঠানো হয়েছিল। তাহলে সেন্ট্রাল টিম পাঠানো যায়। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলে যাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী এখানে আনা যায় তার কথাই বলা হয়েছে। আমরা চাই মানুষ নিজের ভোট নিজেই দিক। এটা হলে আমরা অনেক ভালো ফল করব পঞ্চায়েত নির্বাচনে।
বিজেপির কেন্দ্রীয় বাহিনী চাওয়ার পাল্টা দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী নয়, ওদের ইন্টারপোলকে আনার কথা বলা উচিত ছিল। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহকে নিয়ে এসে ডেইলি প্যাসেঞ্জারের মতো ব্যবহার করে, সেন্ট্রাল ফোর্স ব্যবহার করে ওরা তো দেখল? নিট রেজাল্ট কী? আবকি বার দোশো পার! কী হয়েছে ওরা নিজেরাও জানে না।
উল্লেখ্য, আজকের বৈঠকে দলের নেতাদের কড়া বার্তা দেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। নিশানায় বিক্ষুব্ধরা। সাফ জানিয়ে দেওয়া হল, দল যে দায়িত্ব দেবে সেটাই মানতে হবে। দায়িত্ব বন্টন নিয়ে কোনও ক্ষোভ থাকলে তা প্রকাশ্যে একেবারেই যাবে না। বৈঠকে ছিলেন দলের শীর্ষ নেতা সুনীল বনসল ও মঙ্গল পান্ডে-সহ একাধিক নেতা। রাজ্যে এসেছেন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক ও সহ-পর্যবেক্ষেক মিলিয়ে বিজেপির মোট ৩ নেতা। রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করছেন তাঁরা। শুধুমাত্র শীর্ষ নেতৃত্ব নয়, তালিকায় রয়েছেন রাজ্য পদাধিকারী, বিধায়ক ও জেলা সভাধিপতিদের সঙ্গে বৈঠক করছেন তাঁরা। রবিবার প্রথম পর্যায়ে বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে বিক্ষুব্ধদের কড়া বার্তা দেওয়া হয়। কারণ হল,সম্প্রতি দলের কিছু নেতা সংবাদমাধ্যমে দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। এতে শাসক দল সেইসব মন্তব্যকে হাতিয়ার করে বিজেপিকে নিশানা করছে। এর বাড়বাড়ন্ত যাতে না হয় তার রুখতে পদক্ষেপ নিল বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। জানিয়ে দেওয়া হয়েছে দায়িত্ব বন্টন নিয়ে যদি কারও কোনও ক্ষোভ থাকে তাহলে দলের মধ্যেই তা বলতে হবে। দল যে দায়িত্ব দেবে সেটাই পালন করতে হবে।