BJP Meeting: শহরে আজ শাহি সভা, হাওড়া-শিয়ালদহে 'ফ্রেস' হয়ে ধর্মতলামুখি বিজেপি সমর্থকরা
BJP Meeting: ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে সভা করতে গিয়ে অনেক কাটখড় পোড়াতে হয়েছে বিজেপিকে। হাইকোর্টে গিয়ে সভার অনুমতি পেয়েছে বিজেপি
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ধর্মতলায় ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে অমিত শাহের সভায় ইতিমধ্যেই আসতে শুরু করেছেন বিজেপি সমর্থকেরা। রাজ্য বিজেপি সভাপতির দাবি ঐতিহাসিক সভা হবে। সকাল থেকেই শিয়ালদহ স্টেশনে বসে রয়েছেন বিজেপি নেতা শঙ্কর ঘোষ। হাওড়া ও শিয়ালদহে বিজেপ কর্মীদের খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সকালের খাওয়া শেষ তাঁরা ধর্মতলার সভামঞ্চের দিকে যেতে শুরু করেছেন।
আরও পড়ুন-'এমন চ্যালেঞ্জিং সুযোগ একবারই আসে, জেদে চেপে গিয়েছিল', উচ্ছ্বাস র্যাট হোল মাইনিং কর্মীদের
ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে সভা করতে গিয়ে অনেক কাটখড় পোড়াতে হয়েছে বিজেপিকে। হাইকোর্টে গিয়ে সভার অনুমতি পেয়েছে বিজেপি। এনিয়ে শঙ্কর ঘোষ বলেন, আদালতের থাপ্পড় খেয়েছে সরকার। ফলে বিজেপি কর্মীদের আর সভায় আসতে বাধা দিতে ভাববে তৃণমূল কংগ্রেস।
অমিত শাহের সভায় যোগ দিতে পুরুলিয়ার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ । রাত থেকেই ট্রেনে বাসে এবং ছোট চার চাকার গাড়িতে করে রওনা দিলেন উৎসাহী বিজেপি নেতাকর্মী সমর্থকরা । অমিত শাহের মঞ্চের পাশে রাখা থাকবে অভিযোগ বাক্স। যেসব কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সাহায্য বিজেপি কর্মীরা পাচ্ছেন না তারা তা লিখে জমা দিতে পারবেন।
ধীরে ধীরে ধর্মতলার মঞ্চের সামনে জড়ো হচ্ছেন বিজেপি কর্মীরা। রাজ্যের দুর্নীতির প্রতিবাদে আজ সভা করছে বিজেপি। আর সেই সভার মধ্যমণি অমিত শাহ। রাজনৈতিক মহলের ধারনা এই মঞ্চ থেকেই ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের সুর বেঁধে দেবেন শাহ। ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে বিজেপির মঞ্চকে বিভিন্ন স্তরে ভাগ করা হয়েছিল বলে শোনা যাচ্ছে। ঠিক ছিল প্রথম স্তরে থাকবেন অমিত শাহ ও দলের সাধারণ সম্পাদকরা। পরের স্তরে থাকবেন বিজেপি বিধায়ক, সাংসদ ও মিঠুন চক্রবর্তী। পরের স্তরে থাকবেন বিজেপি কর্মকর্তারা। বিজেপি নেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারি দাবি করেছেন, ৪-৫ লাখ লোক হবে। দলের কর্মীদের সভা আসতে বাধা দেওয়ার আশঙ্কা থাকছে। তবে বাড়াবাড়ি না করাই ভালো। কারণ সেই দিন চলে গিয়েছে। বাড়াবাড়ি হলে কপালে কষ্ট আছে। হাওড়া স্টেশনের পাশে কর্মী সমর্থকদের খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। খেতে পারবেন ২০-৩০ হাজার লোক। পুরুলিয়া বাঁকুড়া থেকে যারা এসেছেন তার খোওয়া সেরে ধর্মতলার দিকে যেতেও শুরু করেছেন।
বালুরঘাট ও মালদহ থেকে দুটি ট্রেন এসেছে। সেই ট্রেনে এসেছেন বিজেপি সমর্থকেরা। বালুরঘাট থেকে আসছে একটি স্পেশাল ট্রেন। সকাল ৯টা ৫০ এ একটি এবং ১১টায় একটি ট্রেন আসবেন বিজেপি সমর্থকেরা। সকাল থেকেই শিয়ালদহে স্টেশনের কাছে রয়েছেন বিজেপি নেতা শঙ্কার ঘোষ। শিয়ালদহ স্টেশন থেকে মিছিল করে ধর্মতালার সভায় যাবেন বিজেপি সমর্থকেরা।
শঙ্কর ঘোষ বলেন, অনেক ট্রেন আসবে। বিশেষকরে উত্তরবঙ্গের ট্রেনগুলি এখনও ঢোকেনি। এই সভায় আসার পথে কি কোনও বাধা দেওয়া হচ্ছে? শঙ্কর ঘোষ বলেন, আমি সব জেলার কথা বলতে পারব না। তবে আমি যে পথে এসেছি সেই পথে বাধায় পড়িনি। কারণ প্রশাসন জেনে গিয়েছে হাইকোর্টের থাপ্পড়ে এই সভা হচ্ছে। পুলিসের যারা লেজুর হয়ে কাজ করেন তারা এবার সেই সাহস দেখাননি।
বিজেপির ধর্মতলায় প্রতিবাদ সভায় যোগ দিতে বিভিন্ন জেলা থেকে আগত প্রতিনিধিদের হাওড়া স্টেশন লাগোয়া রেল মিউজিয়াম সংলগ্ন মাঠে খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সকাল থেকেই প্রতিবাদ সভায় যোগ দিতে আসা বিভিন্ন জেলার কর্মী সমর্থকরা সেখানেই ভোজন গ্রহণ করছেন। এরপরেই কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন।
পৌনে সাতটা নাগাদ একটি ট্রেন হাওড়া ঢোকে। সেই ট্রেনে এসেছেন বহু বিজেপি সমর্থক। গতকাল থেকেই হাওড়া স্টেশন চত্বরে ২টি জায়গায় বিজেপি সমর্থকদের জন্য খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আরও ট্রেনে বিজেপি কর্মীরা আসবেন হাওড়ায়। এমনটাই দাবি করেছেন বিজেপি কর্মীরা। বাড়তে থাকা দুর্নীতি নিয়ে খঞ্জনি হাতে গানের কলি গেয়ে তৃণমূল সরকারকে উৎখাতের ডাক বিজেপি কর্মীদের। দুর্গাপুর স্টেশনে স্পেশাল ট্রেনে বাঁকুড়া ও দুর্গাপুরের হাজার খানেক বিজেপি কর্মী ।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)