BJP Nabanna Abhiyan: 'বাংলায় আক্রান্ত বিজেপিকর্মী', রাজ্যে আসছে ৫ সদস্য়ের প্রতিনিধিদল
বিজেপি নবান্ন অভিযানে ধুন্ধুমার। বিক্ষোভকারীদের উপর পুলিসের লাঠিচার্জ, সঙ্গে সঙ্গে জল কামান ও কাঁদানে গ্যাস। ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করে জেপি নাড্ডাকে রিপোর্ট দেবেন প্রতিনিধিদলের সদস্যরা।

মৌপিয়া নন্দী: 'বাংলায় আক্রান্ত দলের কর্মীরা'। নবান্ন অভিযানের পর ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করল বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। কারা থাকছেন কমিটিতে? ব্রিজলাল, রাজ্যবর্ধন সিং রাঠোর, অপরাজিতা সারেঙ্গি, সুনীল জাখড় ও সমীর ওঁরাও। রাজ্যের আসবেন তাঁরা। ঘটনাস্থল ঘুরে দেখে রিপোর্ট দেবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকে।
ব্যবধান দু'বছরের। ২০২০-র সালে পর ফের নবান্ন অভিযান করল বিজেপি। মঙ্গলবার তিন দিক থেকে মিছিল করে নবান্নে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষেরা। পুলিসের অনুমতি ছিল না। বিজেপির কর্মসূচিকে কেন্দ্র উত্তাল হয়ে ওঠে কলকাতা ও হাওড়া। দফায় উত্তেজনা ছড়ায় সাঁতরাগাছি। কলেজ স্ট্রিট ও লালবাজারে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে পুলিস। সঙ্গে জল কামান ও কাঁদানে গ্যাস। আটক করা হয় শুভেন্দু, লকেট ও সুকান্তকে।
আরও পড়ুন: Suvendu Adhikari: ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতিতে ৩৯ অবৈধ সম্পত্তি তৃণমূল বিধায়কের! বিস্ফোরক শুভেন্দু
বিজেপি নবান্ন অভিযান তখন শেষ। সন্ধ্যায় লালবাজার থেকে ছাড়া পান শুভেন্দু। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, 'আমাদের ২০০ থেকে ২৫০ জন কর্মী আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৫০ জনেরও বেশি হাসপাতালে ভর্তি'। আন্দোলনে কে বাধা? রাজ্যের বিরুদ্ধে সাংবিধানিক ব্যবস্থাকে নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন বিজেপি নেতা, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদ। আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। বলেন, 'যে ব্যক্তি নিজেই বামেদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে লড়েছেন, আজ তিনি তার বেশি অত্যাচার বিজেপির উপর করছেন। এটা কি তৃণমূলের অন্দরের সমস্যা ? উত্তরাধিকার-সংঘাত চলছে ? সেখান থেকে নজর ঘোরাতেই কি বিজেপি কর্মীদের উপর পুলিশি অত্যাচার'? এবার তদন্ত কমিটি গড়ল বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
এদিকে দেহরক্ষী অস্বাভাবিক মৃত্যু-সহ একাধিক অভিযোগে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে একাধিক থানায়। কিন্তু নন্দীগ্রাম বিধায়ককে এখনই গ্রেফতার করা যাবে না বা তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা যাবে না বলে রায় দিয়েছিল হাইকোর্ট। সেই রায়কে চ্যালেঞ্চ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য। কিন্তু হাইকোর্টের রায়ই বহাল রেখেছে দেশের শীর্ষ আদালত। তাহলে শুভেন্দুকে কেন আটক? নবান্ন অভিযানের দিন হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বঙ্গ বিজেপি। সেই মামলায় ১৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে স্বরাষ্ট্রসচিবের রিপোর্ট তলব করেছেন বিচারক। জানিয়েছেন, সরকারি সম্পত্তি নষ্টের ক্ষেত্রে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারবে পুলিস।