Debashis Dhar: কেন প্রার্থীপদ খারিজ? প্রাক্তন IPS-কে মামলার অনুমতি হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের..
লোকসভা ভোটের মুখে আচমকাই ইস্তফা দেন দেন IPS অফিসার দেবাশিস ধর। বীরভূমে তাঁকে প্রার্থী করেছিল বিজেপি। কিন্তু স্কুটিনি পর্বেই বাতিল হয়ে গিয়েছে মনোনয়ন। 'অসহায়তা,অসহিষ্ণুতা, প্রতিহিংসাপরায়ণ রাজনীতির আরও একটি নজির স্থাপন করল তৃণমূল কংগ্রেস', বললেন রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য।
অর্ণবাংশু নিয়োগী: লোকসভা ভোটে প্রার্থীপদ কেন খারিজ? প্রাক্তন IPS অফিসার দেবাশিস ধরকে মামলা দায়ের করার অনুমতি দিল হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। তবে দ্রুত নয়, মামলাটির শুনানি হতে পারে সোম কিংবা মঙ্গলবার।
আরও পড়ুন: Airport Bomb Threat: 'বোমা রাখা আছে', কলকাতা বিমানবন্দরে হুমকি মেইল
ঘটনাটি ঠিক কী? একুশে বিধানসভার ভোটের সময়ে গুলি চলেছিল কোচবিহারের শীতলখুচিতে। তখন সেখানকার পুলিস সুপার ছিলেন দেবাশিস।এরপর তাঁর বিরুদ্ধে আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যহীন সম্পত্তির অভিযোগে তদন্ত শুরু করে সিআইডি। লোকসভা ভোটের মুখে আচমকাই ইস্তফা দেন কোচবিহারের প্রাক্তন পুলিস সুপার। কম্পালসারি ওয়েটিংয়ে ছিলেন পদত্যাগী এই IPS অফিসার।
তাহলে কি এবার রাজনীতিতে? জল্পনা চলছিলই। বীরভূমে কেন্দ্রে রাজ্যের প্রাক্তন পুলিসকর্তা দেবাশিসকে প্রার্থী করে বিজেপি। বিপক্ষে তৃণমূল শতাব্দী রায়। কিন্তু স্কুটিনি পর্বেই মনোনয়ন বাতিল হয়ে গিয়েছে বিজেপি প্রার্থীর। কেন? জানা গিয়েছে, চাকরি থেকে ইস্তফা দিলেও দেবাশিসকে এখনও 'নো ডিউস' দেয়নি রাজ্য় সরকার। কমিশন জানিয়েছে, বেশ কিছু ক্ষেত্রে 'ডিউস ক্লিয়ার' ছিল না। সেকারণেই জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ৩৬ নম্বর ধারায় বাতিল করা হয়েছে বীরভূমে বিজেপি প্রার্থীর মনোনয়।
এদিকে বীরভূমের বিজেপি বিকল্প প্রার্থী হিসেবে যখন মনোনয়ন পেশ করেছেন দেবতনু ভট্টাচার্য, তখন প্রার্থীপদ খারিজের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন দেবাশিস ধর। কিন্তু মামলা দায়ের অনুমতি তো দূর অস্ত, মামলাকারী আইনজীবীর বক্তব্য না শুনেই এজলাস ছাড়েন সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য়। এরপর প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করে দেবাশিস।
রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, 'অসহায়তা,অসহিষ্ণুতা, প্রতিহিংসাপরায়ণ রাজনীতির আরও একটি নজির স্থাপন করল তৃণমূল কংগ্রেস। আগের থেকে তৈরি একটা নোটিশকে আইনের আওতায় এনে অবসরপ্রাপ্ত IPS এর প্রার্থী পদ বাতিল করল বীরভূম জেলা প্রশাসন'। তাঁর দাবি, 'নো ডিউস' দেখিয়ে কারও প্রার্থীপদ বাতিল করা যায় না। ডিউ আছে কিনা সেটা থেকেও বড় প্রশ্ন কোনও ডিমান্ড পেশ করা হয়েছে কিনা দেবাশীষ ধরের কাছে'। ১৩ মে চতুর্থ দফায় ভোট হবে বীরভূমে।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)