মহিলাকে চড়! অভিযুক্ত এএসআই-এর বিরুদ্ধে লঘু ধারায় মামলা দায়ের
অভিযুক্ত পুলিস কর্মীর বিরুদ্ধে ৩২৩ ধারায় মামলা করেছে পুলিস। সাধারণ মারধরের ক্ষেত্রে এই ৩২৩ ধারা দেওয়া হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদন : পার্ক স্ট্রিট কাণ্ডে অবশেষে মামলা রুজু। মহিলাকে চড় মারায় অভিযুক্ত পুলিসকর্মীর বিরুদ্ধে জামিনযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। যদিও, সম্ভ্রমহানির অভিযোগে অনড় মহিলা। উল্টে অভযোগ করেছেন এএসআই-ও। মামলা দায়ের হতে পারে নির্যাতিতার বিরুদ্ধেও।
দু দিন পর শেষ পর্যন্ত মামলা দায়ের হল অভিযুক্ত এএসআই হীরালাল মণ্ডলের বিরুদ্ধে। তবে তার পরেও থাকছে প্রশ্ন। কারণ মামলা দায়ের হয়েছে লঘু ধারায়। অভিযুক্ত পুলিস কর্মীর বিরুদ্ধে ৩২৩ ধারায় মামলা করেছে পুলিস। সাধারণ মারধরের ক্ষেত্রে এই ৩২৩ ধারা দেওয়া হয়। এই ধারা জামিনযোগ্য তো বটেই, নিতান্ত লঘু এই ধারা। এমনকি আদালতের ধর্তব্যযোগ্য নয়।
সাধারণত মহিলাদের বলপূর্ব সম্মানহানির ক্ষেত্রে ৩৫৪ ধারা দেওয়া হয়। এই ধারা জামিন অযোগ্য। কিন্তু অভিযুক্ত এএসআই হীরালাল মণ্ডলের বিরুদ্ধে ৩৫৪ ধারা দেওয়া হয়নি। এদিনও পার্ক স্ট্রিট থানায় যান মহিলা। অভিযুক্ত এএসআই-এর যথোপযুক্ত শাস্তির দাবি করেন তিনি। এদিকে তাঁর বিরুদ্ধেও পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেছেন অভিযুক্ত পুলিস কর্মী। সেক্ষেত্রে পুলিসকর্মীকে কাজে বাধা দানের অভিযোগে জামিন অযোধ্য ধারায় মামলা হতে পারে ওই মহিলার বিরুদ্ধেই।
আরও পড়ুন, আত্মরক্ষার্থেই 'প্রাক্তন' স্বামীর গলায় ফাঁস! খড়দা খুনে পর্দা ফাঁস
ঘটনার সূত্রপাত বুধবার সন্ধেয়। পার্ক স্ট্রিটএ এপিজে হাউসে একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত ওই মহিলা। প্রতিদিনের মত গতকালও অফিস থেকে বাড়ি ফেরার জন্য অ্যাপ ক্যাব বুক করেন তিনি। কিন্তু, ওয়ান ওয়ে রাস্তায় গাড়ি সঠিক জায়গায় দাঁড়াতে পারেনি। কিছুটা এগিয়ে গিয়ে দাঁড়ায়। ওই মহিলা তখন তিন সহকর্মীকে নিয়ে দৌড়ে গিয়ে ক্যাবটি ধরার চেষ্টা করেন।
ততক্ষণে গাড়ির কাছে পৌঁছে যান কর্তব্যরত এএসআই এইচ মণ্ডল। ক্যাবটিকে লাঠিপেটা করতে শুরু করেন তিনি। মহিলা আটকানোর চেষ্টা করতে পুলিসকর্মীর জ্যাকেটে হাত লেগে যায়। অভিযোগ, এরপরই অগ্নিশর্মা হয়ে ওঠেন ওই এএসআই। সপাটে চড় কষিয়ে দেন মহিলার বাঁ গালে। আচমকা এঘটনায় স্তম্ভিত হয়ে যান মহিলা।
আরও পড়ুন, নগ্ন ছবি দেখিয়ে টানা ৪ বছর ধরে গৃহবধূকে ধর্ষণ পুরকর্মীর!
এদৃশ্য দেখে ছুটে আসেন পথচলতি অন্য মানুষজন। পুলিসের এমন আচরণের কড়া প্রতিবাদ করেন তাঁরা। কিন্তু অভিযোগ, ক্ষমা না চেয়ে পাল্টা হুমকি দিতে থাকেন ওই এএসআই। অভিযোগের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত এএসআই-কে তলব করে ডিসি সাউথ। তিনি দাবি করেন, অনিচ্ছাকৃতভাবে হাত নাড়তে গিয়েই এঘটনা ঘটেছে।