Zee ২৪ ঘণ্টার খবরের জের, এনআরএসে শিশুসুরক্ষা কমিশন, সুপারিশ স্বাস্থ্য দফতরকে
এনআরএসে পৌঁছন শিশুসুরক্ষা কমিশনের সদস্যরা। সরেজমিনে ঘুরে দেখেন ওয়ার্ড।
![Zee ২৪ ঘণ্টার খবরের জের, এনআরএসে শিশুসুরক্ষা কমিশন, সুপারিশ স্বাস্থ্য দফতরকে Zee ২৪ ঘণ্টার খবরের জের, এনআরএসে শিশুসুরক্ষা কমিশন, সুপারিশ স্বাস্থ্য দফতরকে](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2021/02/09/305705-nrs.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদন: এনআরএস হাসপাতালেই (NRS) রয়েছে রাজ্যের সবথেকে বড় শিশুশল্য বিভাগ। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের অসুস্থ শিশুর আশ্রয় এই হাসপাতাল। হাসপাতালের অন্দরের ছবিটা ঠিক কেমন? যে ছবি ধরা পড়ল Zee ২৪ ঘণ্টার ক্যামেরা। বেআব্রু স্বাস্থ্যের বেহাল ছবি সম্প্রচারিত হওয়ার পর অকুস্থলে পৌঁছন শিশুসুরক্ষা কমিশনের সদস্যরা। সরেজমিনে ঘুরে দেখেন ওয়ার্ড।
ওদের কারও বয়স দশ দিন। কেউ আবার মাস ছয়েক অথবা ছ বছর। জন্মের পর থেকেই কারও মূত্রনালী নেই, কারও মলদ্বার তৈরি হয়নি। কারও পেটে রয়েছে ঢাউস টিউমার। অসুস্থ এইসব শিশুর অনেকেরই ঠাঁই মিলেছে মেঝেতে। করোনা আবহে গাদাগাদি করে ধুলোর মধ্যেই পড়ে রয়েছে অসহায় শৈশব। এন আর এস হাসপাতালের শিশু শল্য বিভাগে মাসের পর মাস চিকিত্সাধীন এই শিশুরা। ৬০টি ওয়ার্ডে ভর্তি ১৪০ জন। হাসপাতালের অন্দরের এই ছবিই উঠে আসে Zee ২৪ ঘণ্টার ক্যামেরায়। করিডরের দুপাশে সার দিয়ে রয়েছে একরত্তি থেকে সবে মুখে বোল ফোটা শিশু। হাতে স্যালাইনের চ্যানেল। যন্ত্রণায় ছটফট করলেও বেডে শোয়ার উপায় নেই। সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও।
খবর সম্প্রচারিত হওয়ার পরই বিকেল ৩টে নাগাদ এনআরএসে যান শিশুসুরক্ষা কমিশনের সদস্যরা। হাসপাতালের (NRS) ওয়ার্ড ঘুরে দেখা পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও বিভাগীয় প্রধানের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। কমিশনের সদস্য প্রসূন ভৌমিক জানিয়েছেন,'অভিযোগের সারবত্তা রয়েছে। পর্যাপ্ত চিকিৎসক নেই। আর একটি ঘর চালু করার কথা বলেছি। কয়েকজন ডাক্তার যাতে আনা যায়, সেটাও দেখতে বলা হয়েছে।' আগামিকাল, বুধবার স্বাস্থ্য দফতরের কাছে লিখিত সুপারিশ পাঠাতে চলেছে শিশুসুরক্ষা কমিশন। এ দিন ফোনে কথা হয়েছে।
আরও পড়ুন- 'যা ছিল বাম, তাই হয়েছে শ্যাম', Modi-র পথেই হাঁটলেন Mamata