লকডাউনে কর্মহীন, দুর্ঘটনায় গেল হাত, চকোলেট আঁকড়ে লড়াই দম্পতির
চক্রবর্তী দম্পতির ভালোবাসার লড়াইকে এক সুতোয় বেঁধেছে চকোলেট।
অয়ন ঘোষাল: চকোলেট ডে ওদের কাছে ঘুরে দাঁড়ানোর শপথ। লকডাউনের (Lockdown) পর সুদিনের মুখ দেখিয়েছে চকোলেটের ব্যবসা। তবে, লক্ষ্মীলাভ হওয়ার আগেই এল নতুন বিপদ। দুর্ঘটনায় হাত বাদ গেল দেবরাজ চক্রবর্তীর। তবে প্রতিকূলতার কাছে হার মানেননি। চকোলেট ব্যবসাকে আঁকড়ে ধরে লড়াই চালাচ্ছে ম্যুর অ্যাভিনিউর চক্রবর্তী দম্পতি।
এক টুকরো চকোলেট। আট থেকে আশি সবার প্রিয়। কিন্তু, চক্রবর্তী পরিবারের কাছে চকোলেট যেন বিপদের দিনে বন্ধু। এই চকোলেটের হাত ধরেই সুদিনের মুখ দেখেছেন দেবরাজ ও সুমেলি। ২০০৯ সালে বিয়ে। ব্যান্ডের লিড ভোকালিস্ট সুমেলি, কম্পোজার দেবরাজ। গান গেয়ে ভালোই কাটছিল সংসার। লকডাউনে সব এলোমেলো। বন্ধ গান। জীবিকায় টান। তখনই দু'জনে মিলে শুরু করেন কেক-চকোলেটের ব্যবসা। বেশ ভালোই চলছিল। কিন্তু, আবার সঙ্গী হল দুর্ভাগ্য। গত বছর ৭ অক্টোবর আনোয়ার শাহ রোডে চকোলেট ডেলিভারি দিতে যাওয়ার সময়ে দুর্ঘটনার শিকার হন দেবরাজ চক্রবর্তী। চলে গেল হাত। হার মানেননি দেবরাজ। এক হাতেই লড়াই জারি রেখেছেন। তাঁর কথায়,'এটাই ভগবানের চ্যালেঞ্জ। ব্যবসা আরও বড় করে তুলতে হবে। একটা চাকরিও করতাম। লকডাউনে সেটাও গেল। জেদ ধরেছি, মেয়েটাকে বড় করবই।'
বছর আটের এক কন্যে যশস্বী। মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়েই মন শক্ত করেন চক্রবর্তী দম্পতি। এখন রাত-দিনের ব্যস্ততা। এক হাতেই স্ত্রীয়ের পাশে দাঁড়িয়ে চকোলেট বানানোর কাজে হাত লাগান দেবরাজ। সুমেলি এসব নিয়ে ভাবতে মানতে নারাজ। বরং তাঁর কাছে এটাই তো জীবন। Zee ২৪ ঘণ্টাকে তিনি বলেন, 'ঘাত প্রতিঘাত আসবে। যে সময়ের মধ্যে গেছি, সেগুলি আজ মনে করে লাভ নেই। আজ শুধু মিষ্টিমুখ হয়ে যাক।'
এগিয়ে আসছে ভালবাসার দিন। রোজ ডে দিয়ে শুরু হয়ে গেছে কাউন্টডাউন। প্রোপোজ ডে। চকোলেট ডে। সবই ভালবাসার উপহার। চক্রবর্তী দম্পতির ভালোবাসার লড়াইকে এক সুতোয় বেঁধেছে চকোলেট। চকোলেট ডে-তে পথশিশুদের হাতে নিজেদের ভালবাসা তুলে দিয়ে জীবনযুদ্ধের নতুন শপথ নিয়েছে চকোলেট পরিবার।
আরও পড়ুন- গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে COVID-এ মৃত্যু শূন্য