হয়তো চক্ররেলের চাকা এ বার বেশি ঘুরবে
চক্ররেলের ট্রেনের দৈনিক সংখ্যা বাড়ানোর কথাও ভাবছে রেল দফতর। এটা সত্যি হলে হয়তো একদিন দুয়োরানি তকমাও ঘুচবে চক্ররেলের।

নিজস্ব প্রতিবেদন: কলকাতা যতখানি মেট্রোরেলের, ততখানি চক্ররেলের নয়। এ শহরে চক্ররেল বা গালভরা সার্কুলার রেলের যেন অনেকটা ওই রূপকথার দুয়োরানির মতো। সুয়োরানি মেট্রোরেলের প্রশংসায় পঞ্চমুখ সকলে। কিন্তু তাহার কথা হেথা কেহ তো বলে না!
সেই অপবাদ হয়তো ঘুচতে বসেছে। কেননা রেল এ বার যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে চক্ররেলের পরিকাঠামো উন্নত করার কথা ভাবছে। অবশ্য তারও কারণ আছে। রেল চাইছে, শিয়ালদহ স্টেশনের ভার কিছু কমানো হোক।
আসলে, সামগ্রিক ভাবে এ বার রেল পরিষেবা চালানোর বিষয়টি নিয়েও ভাবনাচিন্তা চলছে। মেট্রো পরিষেবা শুরু হয়েছে। লোকাল ট্রেনও যদি এ বার একটু-একটু করে চলতে শুরু করে, তবে যাত্রীসাধারণের খুবই সুবিধা হয়। করোনা-আবহে বেশ কিছুটা পরিবর্তনও এসেছে। পরিস্থিতি একটু একটু করে স্বাভাবিক হচ্ছে। ফলে লোকাল ট্রেন চলতে শুরু করলে গণপরিবহণের অবস্থারও উন্নতি হয়।
পূর্ব রেল খতিয়ে দেখেছে, চক্ররেলকে যথাযথ ভাবে ব্যবহার করলে শিয়ালদহের ওপর চাপ অনেক কমে। শিয়ালদহ স্টেশনে ঢুকে একটা বড় অংশের যাত্রী এই শহরের বিভিন্ন দিকে কর্মসূত্রে চলে যান। শ্যামবাজার বা দক্ষিণ কলকাতার কোনও কোনও জায়গায় পৌঁছে যান। এখন যদি এই সব যাত্রীকে চক্ররেলের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত করিয়ে দেওয়া যায় তবে শিয়ালদহের ভিড় যেমন কমে, তেমনই ওই যাত্রীদেরও সঠিক গন্তব্যে পৌঁছে যেতে সুবিধা হয়।
চক্ররেল বা সার্কুলার রেল তো এই শহরের উত্তর ও দক্ষিণকে জুড়ে দিয়েছেই, সঙ্গে রাণাঘাট, গেদে, নৈহাটি, ব্যারাকপুরও এই রেল ধরে চলে যাওয়া সম্ভব। তাছাড়া খোদ কলকাতার বহু গুরুত্বপূর্ণ জায়গাতেই এই রেল ধরেই পৌঁছে যাওয়া চলে। ফলে এই ট্রেনের দৈনিক সংখ্যা বাড়ানোর কথাও ভাবছে রেল। এসব সত্যিই ঘটলে হয়তো একদিন দুয়োরানি তকমাও ঘুচবে চক্ররেলের। তখন শহরের বুকে বিছিয়ে থাকা সার্কুলার রেল-পথে সারাদিন ধরে অসংখ্যবার অসংখ্য যাত্রী নিয়ে ফিরে ফিরে আসবে তার চাকা।