'গণতন্ত্র বিরোধী', আলাপন-বদলিতে রাজ্য সরকারের পাশে Congress
কেন্দ্রের সমালোচনা করে কড়া বিবৃতি প্রকাশ।
নিজস্ব প্রতিবেদন: মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Alapan Bandyopadhyay) বদলি নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে সংঘাতে পথে রাজ্য। মুখ্যমন্ত্রী যখন দিল্লিতে চিঠি লিখতে চলেছে বলে খবর, তখন সরকারের পাশে দাঁড়াল কংগ্রেস। মোদি সরকারের এই সিদ্ধান্তকে ' গণতন্ত্রের পক্ষে ক্ষতিকারক' ও 'যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো বিরোধী' বলে উল্লেখ করে বিবৃতি দিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা (Randeep Surjewala)।
কংগ্রেসে তরফে দীর্ঘ বিবৃতি বলা হয়েছে, 'পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে বদলির সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদী সরকার, তাতে গোটা দেশ হতবাক। মাত্র চারদিন আগে মোদি সরকারই মুখ্যসচিবের মেয়াদ আরও তিন মাস বাড়ানোর প্রস্তাব অনুমোদন করেছিল। সেদিক থেকে দেখলে এটা দ্বিচারিতা ছাড়া আর কিছু নয়'। বিবৃতিতে আরও উল্লেখ, 'মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্ত ভারতের সংবিধান ও যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর উপর চরম আঘাত। কেন্দ্র যদি এভাবে রাজনৈতিক কারণে আইএএস, আইপিএসদের রাজ্য থেকে ডেকে পাঠায়, তাহলে আইনের শাসন ও সংবিধানিক কাঠামো ভেঙে পড়বে'। পাশাপাশি, নারদা কাণ্ডে ৩ তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার ও সিবিআই-র ভূমিকায় কড়া সমালোচনা করেছে কংগ্রেস।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক কর্মসূচি থেকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ, Dilip Ghosh-এর বিরুদ্ধে FIR দায়ের
স্রেফ দলের তরফেই নয়, টুইটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিঁধেছেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশও (Jairam Ramesh)।
Independent India hasn’t seen a PM and HM with bigger egos and smaller minds. This move in the middle of a pandemic and the aftermath of a devastating cyclone, shows how they are still licking their Bengal wounds post elections. Pathetic!https://t.co/YFKZ4SpgE3
— Jairam Ramesh (@Jairam_Ramesh) May 29, 2021
প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আর্জিতে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Alapan Bandyopadhyay) মেয়াদ বৃদ্ধিতে অনুমতি দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। তার সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই গতকাল দিল্লিতে তলব করা হল মুখ্যসচিবকে। চিঠি পাঠিয়ে বলা হল, আগামী সোমবার নর্থ ব্লকে কাজে যোগদান করতে হবে আলাপনকে। মুখ্যসচিবকে বদল সিদ্ধান্তে বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে তৃণমূল। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বলেন,''পশ্চিমবঙ্গে হার হজম করতে পারছে না দিল্লি। যেনতেন প্রকারে রাজ্যের প্রশাসনকে বিব্রত করতে চাইছে।' 'সরকারি সিদ্ধান্ত', পাল্টা বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু।