DA Movement: ডিএ-র পাশাপাশি অন্যান্য ইস্যুতেও রাজ্য সরকাকে চাপ সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের
যৌথ মঞ্চের অভিযোগ, তাদের বেতন থেকে প্রতি মাসে স্বাস্থ বরাদ্দ খাতে একটা নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা কেটে নেওয়া হয়। বিনিময়ে তাদের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড প্রদান করা হয়। কিন্তু বাকি রাজ্যবাসীকে সেই একই কার্ড বিনামূল্যে প্রদান করা হয়। রাজ্য সরকারি কর্মীদের মধ্যে ৬০ শতাংশ মানুষ যে সুবিধা পান, সেই একই সুবিধা টাকা না দিয়ে রাজ্যের আরও প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি মানুষ পান।

অয়ন ঘোষাল: বকেয়া ডিএ-র পাশাপাশি এবার আনুষঙ্গিক আরও ইস্যুতে রাজ্য সরকারের ওপর চাপ বৃদ্ধির কৌশল নিল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। এরই মধ্যে প্রথম কৌশল হিসেবে মঙ্গলবার রাজ্যের প্রতিটি জেলায় শীর্ষ প্রশাসনিক ভবনে সরকারি স্বাস্থ্য স্কিম নিয়ে স্মারকলিপি দেওয়া হচ্ছে।
রাজ্যের সমস্ত সরকারি সাহায্য প্রাপ্ত এবং অনুদান প্রাপ্ত স্কুল ও মাদ্রাসার সমস্ত শিক্ষক, শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীদেরকে অন্যান্য সরকারি কর্মচারীদের মতো সরকারি হেলথ স্কিম (West Bengal Health Scheme বা অর্থাৎ WBHS) সুবিধা প্রদান করার দাবিতে নবান্ন ও বিকাশ ভবনে মুখ্যমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী সহ শীর্ষ পদাধিকারীকে ডেপুটেশন দেওয়া হচ্ছে।
যৌথ মঞ্চের অভিযোগ, তাদের বেতন থেকে প্রতি মাসে স্বাস্থ বরাদ্দ খাতে একটা নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা কেটে নেওয়া হয়। বিনিময়ে তাদের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড প্রদান করা হয়। কিন্তু বাকি রাজ্যবাসীকে সেই একই কার্ড বিনামূল্যে প্রদান করা হয়।
তার মানে টাকা দিয়ে রাজ্য সরকারি কর্মীদের মধ্যে ৬০ শতাংশ মানুষ যে সুবিধা পান, সেই একই সুবিধা টাকা না দিয়ে রাজ্যের আরও প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি মানুষ পান। তাহলে তারা শুধু শুধু বেতন থেকে সরকারকে টাকা দেবেন কেন?
দ্বিতীয়ত, স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের শেষ চুক্তি হয়েছিল ২০১৬ সালে। চিকিৎসা খাতে তখন যা সম্ভাব্য খরচ ধরা হয়েছিল, বর্তমান খরচের সঙ্গে তার কোনও সাযুজ্য নেই।
আরও পড়ুন: Firhad Hakim: রাজ্যে আরও কর্মসংস্থানের সুযোগ, মেয়রের মুখে আশ্বাসবাণী
তৃতীয়ত, নবান্ন সহ মূল সচিবালয় ও জেলা সচিবালয়ের সরকারি কর্মচারিরা (মোট কর্মচারির প্রায় ৪০ শতাংশ) রাজ্য সরকারের হেলথ স্কিমে আছেন। অথচ বাকিরা সরকারি কর্মচারি হয়েও সেই স্কিমে নেই। এরকম দ্বিচারিতা দেশের আর কোনও রাজ্যে নেই বলেই যৌথ মঞ্চের দাবি।
এর প্রতিবাদে, এবং সমস্ত সরকারি কর্মচারিদের স্বাস্থ স্কিমের ছাতার তলায় আনতে মঙ্গলবার এই স্মারকলিপি দেওয়া হচ্ছে।
অন্যদিকে সুপ্রিম কোর্টে একটার পর একটা শুনানির দিন পিছিয়ে যাওয়ায় হতাশ সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। ৬ মে-র মহামিছিলের জন্য কোমর বেঁধে প্রস্তুতি যৌথ মঞ্চের।
আরও পড়ুন: একলাফে ৩৭ শতাংশ ভাড়া বাড়ানোর দাবি অ্যাপ ক্যাবের! এসি চললে কিলোমিটারে কত?
মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি অথবা বাড়ি লাগোয়া এলাকার কাছ দিয়েই তৈরি হবে ৬ মে-র মহামিছিলের রুট। প্রথমে ঠিক হয়েছিল, হাজরা মোড়ে জমায়েত করে, দক্ষিণ কলকাতার একাধিক জায়গা ঘুরে মিছিল শেষ হবে হাজরা মোড়েই।
তবে মিছিলে আগত সরকারি কর্মীদের সম্ভাব্য বিপুল সংখ্যায় হাজরা মোড়ে জমায়েতের পরিকল্পনা বাতিল করেছে যৌথ মঞ্চ। তবে রুটের মধ্যে কালীঘাট থাকছেই। এমনই ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে মঞ্চের তরফে।