Debangshu Bhattacharya: 'বিজেপির ফাঁদে পা দেবেন না', ফেসবুকে 'সতর্কবার্তা' দেবাংশুর
অবরোধ-বিক্ষোভে উত্তাল হাওড়ায়। সোমবার পর্যন্ত জেলায় বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা। ফেসবুক লাইভে এসে আর কী বললেন তৃণমূলর যুবনেতা?

নিজস্ব প্রতিবেদন: টানা ২ দিন ধরে পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ। সোমবার পর্যন্ত যখন জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন, তখন হাওড়ার মানুষকে 'বিজেপি ফাঁদে' পা না দেওয়ার 'পরামর্শ' দিলেন তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য। ফেসবুক লাইভে এসে 'সতর্ক' করলেন সাধারণ মানুষকে।
মহম্মদ পয়গম্বর নিয়ে বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্য জের। বিক্ষোভ-অবরোধে উত্তাল হাওড়া। গতকাল বৃহস্পতিবার হাওড়ার ডোমজুড়ে দীর্ঘ সময়ে ধরে পথ অবরোধ করে রেখেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। সঙ্গে রাস্তায় টাওয়ার জ্বালিয়ে চলে বিক্ষোভ। ছবিটা বদলাল না এদিনও।
অভিযোগ, উলুবেড়িয়ার বানিতবলা চেকপোস্টে এলাকায় পুলিসের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায়। ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে পুলিস গাড়ি-সহ বেশ কয়েকটি গাড়িতে ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। বাদ যায়নি মহকুমাশাসকের কার্যালয় ও পুলিসের কিয়স্কও। রেল অবরোধ করা হয় সাঁতরাগাছি, চেঙ্গাইল, দাসনগর স্টেশনে। ফলে হাওড়া-খড়গপুর শাখায় বন্ধ হয়ে যায় ট্রেন চলাচল। রেল অবরোধের জেরে ৪টি দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল করা হয়েছে।
কেন এমন পরিস্থিতি? ফেসবুক লাইভে তৃণমূল দেবাংশু ভট্টাচার্য বলেন, 'ঠিক এটাই প্ল্য়ানিং ছিল বিজেপি। তারা অভাবে ভারতের কোনও একটি কোনায় উসকানি দেবে, আর সেই উসকানির আগুন ছড়িয়ে পড়বে ভারতের বিভিন্ন কোনায়'। তাঁর আরও বক্তব্য, 'আমি বিশ্বাস করি, নও ধর্মেরই একটি বৃহৎ অংশ এই দাঙ্গা-হাঙ্গামার মধ্যে যায় না! কিন্তু যাঁরা রাস্তা অবরোধ করছে, বাইক জ্বালাচ্ছে, তাঁর তো অবশ্য গুন্ডা-বদমায়েস, আপনিও যদি তাঁদের সঙ্গে নেমে গিয়ে থাকেন মিছিলে, তাহলে আপনিও বিজেপির মাটি শক্ত করার পথে হাঁটছেন'!
এদিকে রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়ার অভিযোগ তুলে মুখ্যমন্ত্রী পদত্যাগ দাবি করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। প্রশ্ন তুলেছেন, 'কেন এখনও প্যারামিলিটারি বা মিলিটারি নামানো হয়নি? রাজ্যপালকে ইমেল করেছি'।