SSC, Babita Sarkar: কীভাবে চাকরি পেলেন ববিতা? হাইকোর্টে সিবিআই তদন্তের সওয়াল রাজ্যের
'পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতার থেকে পাওয়া ১৬ লক্ষ টাকা খরচ করতে পারবেন না ববিতা। মামলার রায় বিপক্ষে গেলে টাকা ফেরত দিতে হবে'।
অর্ণবাংশু নিয়োগী: এসএসসিতে কীভাবে চাকরি পেলেন ববিতা সরকার? তিনি কি চাকরি পাওয়ার যোগ্য? হাইকোর্টে সিবিআই তদন্তের পক্ষে সওয়াল করল রাজ্য। আদালতের নির্দেশ, 'পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতার থেকে পাওয়া ১৬ লক্ষ টাকা খরচ করতে পারবেন না ববিতা। মামলার রায় বিপক্ষে গেলে টাকা ফেরত দিতে হবে'। পরবর্তী শুনানি সোমবার।
প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতার চাকরি পেয়েছেন শিলিগুড়ির ববিতা সরকার। কেন? নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অঙ্কিতাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এমনকী, আদালতে নির্দেশে বেতনের ১৮ লক্ষ টাকাও ববিতাকে ফিরিয়ে দিয়েছেন তিনি! এবার প্রশ্নের মুখে ববিতার চাকরি। মামলা গড়িয়েছে হাইকোর্টে।
কমিশন সূত্রে খবর, এসএসসিতে মাধ্য়মিক, উচ্চমাধ্যমিক-সহ সব রেজাল্টের ভিত্তিতে চাকরিপ্রার্থীদের নম্বর বা এডুকেশনাল স্কোর দেওয়া হয়। ববিতার সেই এডুকেশনাল স্কোরে গরমিল ধরা পড়েছে। ৩১-র বদলে নাকি ৩৩ নম্বর দেওয়া হয়েছে তাঁকে! কীভাবে? অভিযোগ, ববিতা কমিশনকে জানিয়েছিলেন, স্নাতকে ৬০ শতাংশ নম্বর পেয়েছেন তিনি, কিন্তু মার্কশিটে তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৫৫ শতাংশ।
মেধাতালিকায় ববিতার পরে নাম অনামিকা রায়ের। তাঁর দাবি, 'যেহেতু ২ নম্বর কমে গিয়েছে, তাহলে ব়্যাঙ্ক পিছিয়ে যাবে। ৭৭ থেকে ২ বাদ দিলে ৭৫ হচ্ছে। ওয়েটিং লিস্টের ১৪ জনের পিছনের চলে যাবে ববিতা। সেক্ষেত্রে তো চাকরিটা কোনওভাবেই প্রাপ্য তাঁর নয়। পরবর্তী চাকরির দাবিদার আমি। আমি চাইছি, এবার আমাকে চাকরিটা দেওয়া হোক'। ববিতাককে চাকরি থেকে বরখাস্তের দাবিতে আদালতে মামলা করেছেন অনামিকা।
২০১৬ সালে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা বসেছিলেন ববিতা সরকার। ওয়েস্টিং লিস্টে প্রথম ২০-তেই নাম ছিল তাঁর। এরপর দ্বিতীয়বার ফের তালিকা (Waiting List) প্রকাশ করে SSC। সেই তালিকায় একেবারে শীর্ষে ছিল রাজ্যের তৎকালীন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতার নাম। বস্তুত, মেখলিগঞ্জের ইন্দিরা গার্লস স্কুলে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক পদে চাকরিও পেয়ে গিয়েছিলেন তিনি।