সিঙ্গাপুরের কাছে রাজ্যের প্রত্যাশা কী-জানুন
বিদেশি লগ্নির দরজা খুলে দেবে রাজ্যের নতুন নগরায়ন নীতি।

----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
ওয়েব ডেস্ক: বিদেশি লগ্নির দরজা খুলে দেবে রাজ্যের নতুন নগরায়ন নীতি। মুখ্যমন্ত্রীর সিঙ্গাপুর সফরের আগে, এমনটাই আশা করছে শিল্পমহল। সস্তার আবাসন প্রকল্প ও পরিকাঠামো উন্নয়নেও সিঙ্গাপুর মডেল কাজে লাগবে বলে মনে করছেন শিল্পপতিরা।
দক্ষিণ পশ্চিম এশিয়ায় ৬৩টি দ্বীপ নিয়ে তৈরি সিঙ্গাপুর। আর ভাগীরথীর তীরে কলকাতা। ভৌগলিকভাবে একে অপরের থেকে অনেক দূরে থাকা দুটি শহরের মধ্যে মিল একটাই। জনসংখ্যার চাপ। এই সমস্যা সমাধানে সিঙ্গাপুর আয়ত্ত করে ফেলেছে অতি কম খরচে ও সহজে হাইরাইজ তৈরির পদ্ধতি। পাশাপাশি, সুপরিকল্পিতভাবে একাধিক ফ্লাইওভার তৈরি করে কাটানো হয়েছে যানজটের সমস্যা।
সিঙ্গাপুরের কাছে রাজ্যের প্রত্যাশা মূলত দুটি। এক, সস্তার আবাসন প্রকল্পের মডেলটি আয়ত্ত করা। দ্বিতীয়টি অবশ্যই লগ্নির খোঁজ। সিঙ্গাপুরের তিনটি সরকারি ইমারতি সংস্থা জুরং, তামাশেক ও জিআইসি (GIC) গ্রুপকে রাজ্যের রিয়েল এসেস্টে বিনিয়োগে আহ্বান জানানোর ভাবনা রয়েছে সরকারের।
শুধু রিয়েল এস্টেট নয়, সার্বিক পরিকাঠামো উন্নয়নেও সিঙ্গাপুরের মডেলকে কাজে লাগানোর কথা ভাবছে রাজ্যে।
স্মার্ট সিটি প্রকল্পেও সিঙ্গাপুরের বিনিয়োগকে কাজে লাগাতে চায় রাজ্য সরকার। কেন্দ্রীয় বাজেটে প্রস্তাবিত স্মার্ট সিটির জন্য নিউ টাউন, বোলপুর, দুর্গাপুর, কল্যাণী, বারুইপুর, রঘুনাথপুর, জয়গাঁ, কুলবাড়ি ও গঙ্গাসাগর ও দেবানন্দপুরকে চিহ্নিত করেছে রাজ্য সরকার। এরই সঙ্গে রয়েছে, রাজ্যের নতুন নগরায়ন নীতি। এক জানালা ব্যবস্থা ও বিনিয়োগী শর্তের সরলীকরণের ফলে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সহজেই কাছে টানার আশায় শিল্পমহল।