Partha Chatterjee: পার্থর হাতে আংটি, প্রেসিডেন্সি জেল সুপারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের থানায়
Partha Chatterjee:আদালতের ওই নির্দেশের পরও কারা কর্তৃপক্ষ বলে বিষয়টি নিয়ে জেলের সুপারকে সতর্ক করা হয়েছে। আদালত সেই কথায় সন্তুষ্ট ছিল না। সূত্রের খবর, আদালতের নির্দেশ ছিল জেলের নিয়ম ভঙ্গ করা হয়েছে।
পিয়ালি মিত্র: আঙুলে আংটি পরে শুনানিতে হাজির হয়েছিলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বিষয়টি বিচারকের নজরে আনেন ইডির আইজীবী। এনিয়ে এবার প্রেসিডেন্সি কারাগারের সুপারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হল থানায়। এমনই খবর সূত্রের।
আরও পড়ুন-'সন্ত্রাস চালাচ্ছে তৃণমূল', রাজ্যপালকে নালিশ নিশীথের!
সূত্রের খবর, প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের সুপারের বিরুদ্ধে হেস্টিংস থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ডিআইজি কারা। শুনানির সময় পার্থর হাতের আংটি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল ইডি। এনিয়ে আদালত জেল সুপারের ব্যাখ্যা তলব করে। পরে আইজির কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করা হয়।
নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গত এপ্রিল মাসে এক ভার্চুয়াল শুনানির সময় বিষয়টি সামনে আসে। ইডির আইনজীবী সওয়াল করেন, পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় অত্যন্ত প্রভাবশালী। কারণ জেলে যখন কেউ যায় তখন তার পরনে কোনও গহনা থাকার কথা নয়। অথচ জেলে থেকেও পার্থ আংটি পরে রয়েছেন। বিষয়টি বিচারকের দৃষ্টি আকর্ষণ করার পরই জেল সুপারের কাছে বিষয়টির ব্যাখ্য চান। সেই ব্যাখ্যায় অবশ্য সন্তুষ্ট ছিলেন না বিচারক। আইজি কারার কাছে বিষয়টি অনুসন্ধান করে রিপোর্ট দিতে বলেন।
আদালতের ওই নির্দেশের পরও কারা কর্তৃপক্ষ বলে বিষয়টি নিয়ে জেলের সুপারকে সতর্ক করা হয়েছে। আদালত সেই কথায় সন্তুষ্ট ছিল না। সূত্রের খবর, আদালতের নির্দেশ ছিল জেলের নিয়ম ভঙ্গ করা হয়েছে। তাই জেল সুপারের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের নির্দেশ দেন বিচারক। এরপর সূত্রের খবর, কারা দফতরের ডিআইজি হিস্টিংস থানায় প্রেসিডেন্সি জেলের সুপার দেবাশিষ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে পুলিসের তরফ থেকে এখনও কোনও এফআইআর করা হয়নি বলেই খবর।
চিফ পিপি দীপঙ্কর কুন্ডু জানান, পার্থ চট্টাপাধ্যায় জেলে আসার পরই সেই আংটি খোলার চেষ্টা হয়। কিন্তু জোর করে সেই আংটি খুলতে গেলে ক্ষতি পারতো। ক্ষতি হলে আবার জেল অ্যাক্ট অনুযাযী জেলে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে প্রসিডিং হতো পারতো। ফলে আদালতের নির্দেশ মতো আইজি কারা যে অনুসন্ধান করে রিপোর্ট দেন তাতে জেল সুপারের কোনো গাফিলতি পাওয়া যায়নি। কিন্তু সেই রিপোর্টে সন্তুষ্ট ছিল না আদালত। কোর্ট জেল সুপারের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রুজু করার নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশ মেলে অভিযোগ দায়ের হয়।
উল্লেখ্য, গত ১৯ এপ্রিল শুনানিতে পার্থকে দেখে ইডির আইনজীবী প্রশ্ন তোলেন, জেলের ভেতরে আংটি পরে কেন? একজন কয়েদি কীভাবে জেলের ভেতরে আংটি পরে জেলে থাকতে পারেন। এটা জেল ম্যানুয়েলের পরিপন্থী। এর থেকেই বোঝা যায় তিনি কতটা প্রভাবশালী। পার্থ চট্টোপাধ্যোয়কে একবার আঙুলগুলো দেখাতে বলুন। আইনজীবীর কথা শুনে বিচারপতি পার্থকে লক্ষ্য করে বলেন, হাতের তালুটা তুলে একবার দেখান।
শুনানিতে এমন জেরায় অপ্রস্তুত হয়ে পড়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বিচারপতি জিজ্ঞাসা করেন, কটা আংটি পরে আছেন হাতে? আপনাকে কেউ বলেনি যে এসব নিয়ে জেলে ঢোকা যায় না? বিচারকের ওই কথা শুনে পার্থর আইনজীবী বলেন, পার্থবাবুর এটা জানার কথা নয়। উনি জেল ম্যানুয়াল জানেন না। অন্যদিকে, পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, দুটো আঙুলে আংটি আছে। আমাকে কেউ বলেননি আংটি পরে জেলে ঢোকা যায় না। স্বাস্থ্যের জন্য ২টো আংটি পরেছি। এমনকিছু দামি নয় আংটিগুলো।