'তৃণমূলকে কেউ খেতে দেয় না', নেতাদের বাড়ি বাড়ি সফর নিয়ে কটাক্ষ দিলীপের
বন্দে ভারতে পাথর ছোঁড়া নিয়েও মুখ খোলেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, জয় শ্রীরামের বদলা পাথর ছুঁড়ে করা হচ্ছে না তো? কাশ্মীরে দেশ প্রেমীদের পাথর ছুঁড়ে মারা হতো। এখানে রাষ্ট্রবাদীতার প্রতীক বন্দে ভারতে পাথর মারা হচ্ছে। মানুষ এই ট্রেনকে আন্তরিকভাবে নিয়েছেন। এতে মুখ্যমন্ত্রী বোধহয় খুব কষ্ট পেয়েছেন।
অয়ন ঘোষাল: পঞ্চায়েত ভোটের আগে একের পর এক নয়া কর্মসূচি নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস। চাটাই বৈঠক, বিচ বৈঠক- উপকূলের মানুষকে দলীয় কর্মসূচি বোঝাতেই এমন বৈঠকের আয়োজন। ভারতীয় রাজনীতিতে চাটাই পেতে বৈঠক নতুন কিছু নয়। তবে বিচ বৈঠক ঘাসফুল শিবিরের নয়া প্রয়াস। রাজ্যের সে সব জেলায় পেশার তাগিদে সাধারণ মানুষ, মৎস্যজীবীরা উপকূল বা সমুদ্রে থাকেন তারা রাজ্য-রাজনীতি থেকে অনেক দূরে। তারা যাতে এসব কর্মসূচি থেকে বঞ্চিত না হন সেকারণেই বিচে বালির উপর চাটাই পেতে বৈঠকের পরিকল্পনা করেছে। আর রাজ্য সরকারের এই মর্মেই তোপ দেগেছেন দিলীপ ঘোষ।
আরও পড়ুন, শেষ ইচ্ছের দাম! কোভিড কেড়েছে জীবন, আড়াই লাখে স্ত্রীর 'জীবন্ত' মূর্তি বসালেন স্বামী
বিজেপি সর্বভারতীয় সহ-সম্পাদক বলেন, এর আগেও এ ধরনের ঘোষনা হয়েছিল। তৃণমূল নেতাদের বাড়ি বাড়ি যাওয়ার কথা বলা হয়েছিল। কেউ যায়নি। মুখ্যমন্ত্রী জাটুয়া, রায়দিঘী গিয়ে বিজেপি কর্মীর বাড়িতে মাছ ভাত খেয়েছিলেন। ওনার দলের কেউ ওনাকে খেতে দেয়নি। এই প্রকল্প গুলো মিডিয়াকে বলে বাজার গরম করার চেষ্টা। কারণ ওদের এখন পাবলিকের সামনে মুখ দেখানোর জো নেই।
অন্যদিকে, বন্দে ভারতে পাথর ছোঁড়া নিয়েও মুখ খোলেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, জয় শ্রীরামের বদলা পাথর ছুঁড়ে করা হচ্ছে না তো? কাশ্মীরে দেশ প্রেমীদের পাথর ছুঁড়ে মারা হতো। এখানে রাষ্ট্রবাদীতার প্রতীক বন্দে ভারতে পাথর মারা হচ্ছে। আমরা দেখেছি, স্টেশনে স্টেশনে কি বিপুল উন্মাদনা। ট্রেনকে স্বাগত জানানোর জন্য মানুষের সীমাহীন উৎসাহ। মানুষ এই ট্রেনকে আন্তরিকভাবে নিয়েছেন। এতে মুখ্যমন্ত্রী বোধহয় খুব কষ্ট পেয়েছেন। তিনি পশ্চিমবঙ্গকে পিছন দিকে নিয়ে যাচ্ছেন, জনতাকেও এগোতে দিচ্ছেন না। যারা এগোতে চাইছে, তাদের পাথর মারা হচ্ছে।
দিলীপ বাবুর আরও বক্তব্য, দেশীয় প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে অধ্যাবসায় দিয়ে আমরা এই সেমি বুলেট ট্রেন তৈরি করেছি। এ রাজ্যের মানুষ কি সেটা নেওয়ার জন্য তৈরি? কী তাদের মানসিকতা? এই মানসিকতা নিয়ে আমরা কি বাকি দেশ, বাকি দুনিয়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারব? যারা করছে, তাদের কিছু লোক উৎসাহ দিচ্ছে। আমাদের রাজ্যকে বদনাম করছে। রাজ্যের উচিৎ ব্যবস্থা নেওয়া।
আরও পড়ুন, পঞ্চায়েত ভোটের আগেই কলকাতা থেকে উদ্ধার ৬০ লক্ষ টাকা, হাওয়ালা যোগ খতিয়ে দেখছে পুলিস