রাজকোষ শূন্য, অনুদান বাড়ল ক্লাবগুলির
রাজ্য সরকারের টাকা নেই। বারবারই একথা শোনা যায় মুখ্যমন্ত্রীর গলায়। অথচ ক্রীড়া ক্লাবগুলিকে অনুদানের পরিমাণ ১৬ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে করা হল ৪০ কোটি। আগামিকাল নেতাজী ইন্ডোরে ক্লাবগুলির হাতে টাকা তুলে দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের বিভিন্ন ক্লাবকে প্রতি বছরই অনুদান দেয় রাজ্য ক্রীড়া দফতর।
রাজ্য সরকারের টাকা নেই। বারবারই একথা শোনা যায় মুখ্যমন্ত্রীর গলায়। অথচ ক্রীড়া ক্লাবগুলিকে অনুদানের পরিমাণ ১৬ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে করা হল ৪০ কোটি। আগামিকাল নেতাজী ইন্ডোরে ক্লাবগুলির হাতে টাকা তুলে দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের বিভিন্ন ক্লাবকে প্রতি বছরই অনুদান দেয় রাজ্য ক্রীড়া দফতর।
এবছর অনুদান পাচ্ছে ২৪০০ ক্লাব। গত বছর অনুদান পেয়েছিল ৮০০ ক্লাব। গতবার দু লক্ষ টাকা করে অনুদান পাওয়া ক্লাবগুলিকে এবারও এক লক্ষ টাকা করে অনুদান দেওয়া হচ্ছে। আর নতুন ষোলশো ক্লাবকে দেওয়া হবে দু লক্ষ টাকা করে।
শুক্রবার নেতাজি ইন্ডোরে ক্লাবগুলির হাতে অনুদানের টাকা তুলে দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু এতে নিয়মভাঙার অভিযোগ উঠছে।নিয়ম অনুযায়ী, ক্লাবগুলিকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে টাকা দেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে গতবছর অনুদান পাওয়া ক্লাবগুলির এবছর অনুদান পাওয়ার কথা নয়।
গত বছর সরকারি রেজিস্ট্রেশন না থাকা ক্লাবগুলিকে অনুদান দেওয়ায় সমালোচনার মুখে পড়েছিল রাজ্য সরকার। এবার যে ক্লাবগুলির অনুদান পাওয়ার কথা, তারমধ্যে অন্তত ২০ শতাংশের সরকারি রেজিস্ট্রেশন নেই বলে ক্রীড়া দফতর সূত্রেই জানা গিয়েছে।
নিয়ম হল, সরকারি অনুদানের জন্য ক্লাবগুলিকে আবেদন করতে হয়। তারমধ্যে থেকেই ক্রীড়া দফতর বেছে নেয়। কিন্তু গত বছরের মতো এবারও তৃণমূল কংগ্রেস নেতা-মন্ত্রীদের সুপারিশ মেনে ক্লাব বাছাই করা হয়েছে বলে ক্রীড়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।
ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্রর যুক্তি, কত ক্লাবকে আর্থিক অনুদান দেওয়া হবে সে ব্যাপারে কোনও সুনির্দিষ্ট নীতি নেই। পরপর দুবছর কোনও ক্লাবকে অনুদান দেওয়া যাবে না এমন নিয়মও নেই বলে দাবি ক্রীড়ামন্ত্রীর।
তবে সম্ভবত তার চেয়েও বড় প্রশ্ন টাকার অঙ্ক নিয়ে। আগে ক্লাবগুলিকে ৩০-৪০ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হত। নতুন সরকার অনুদানের অঙ্ক বাড়িয়ে দুলক্ষ টাকা করেছে। ক্লাবের সংখ্যাও তিন গুণ হয়েছে। আর এজন্য বাজেট ১৬ কোটি টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৪০ কোটি টাকা। রাজ্য সরকারের টানাটানির সংসারে এই সিদ্ধান্তে যথেষ্ট বিস্ময়ের সৃষ্টি হয়েছে সব মহলেই।