Election Special Hair Cut: রবিনের ছুরি-কাঁচি! কাল ছিল চুল খালি, আজ ফুলে যায় ভরে...
বিশ্বকাপের সময় কখনও মেসি বা রোনাল্ডো, আবার কখনও সৌরভ বা ধোনি, সময়ে সময়ে বিভিন্ন ঘটনার প্রতিচ্ছবি চুলের ছাঁটে ফুটিয়ে তুলেছেন রবিন।
অয়ন ঘোষাল: ডান হোক বা বাম। বিজেপি হোক বা তৃণমূল। মাথা নিমেষেই দলীয় সিম্বলে পরিণত হবে রবিন দাসের হাতের যাদুতে। দেশজুড়ে চলছে গণতন্ত্রের শ্রেষ্ঠ উৎসব। নির্বাচনী প্রচারে নেতা নেত্রীদের সঙ্গে দেখা যায় রাজনৈতিক দলের কর্মী সর্মথকদেরও। আর নিজেদের দলকে সমর্থন করতে অনেক সময়ই অভিনবত্বের আশ্রয় নেন তাঁরা। কারোও গায়ে থাকে দলের প্রতীকের ট্যাটু, কেউ আবার খালি গায়ে দলের পতাকার রঙ মেখে আসেন। এই ভোটের বাজারে রাজনীতির ময়দান কাঁপাচ্ছে মধ্য হাওড়ার রবিন দাসের কাঁচি।
সুকুমার রায় লিখেছিলেন, ‘গোঁফের আমি, গোঁফের তুমি, গোঁফ দিয়ে যায় চেনা’। গোঁফ দিয়ে চেনা গেলে চুল দিয়ে কেন নয়? চুলের ছাঁটে নানারকম শিল্প সৃষ্টি করে চলেছেন হাওড়ার সেলুন মালিক রবিন দাস। বিশ্বকাপের সময় কখনও মেসি বা রোনাল্ডো, আবার কখনও সৌরভ বা ধোনি, সময়ে সময়ে বিভিন্ন ঘটনার প্রতিচ্ছবি চুলের ছাঁটে ফুটিয়ে তুলেছেন রবিন। ২০০৩ সাল থেকে হাতের কাঁচি আর ক্ষুরের কৌশলে এইভাবে খেলার ময়দান কাঁপাচ্ছিলেন তিনি। আর এবার রবিনের হাতের কৌশল দেখা গেল ভোটের ময়দানে। কাঁচি আর ক্ষুর ব্যবহার করে রাজনৈতিক দলগুলির সমর্থকদের মাথায় প্রতীক ফুটিয়ে তুলছেন রবিন।
রবিন জানান, ‘৩০ মিনিট থেকে ৪৫ মিনিট লাগে এরকম চুল কাটতে’। তিনি আরও বলেন, ‘আমি শিল্পী হিসেবে সব রাজনৈতিক দলের সমর্থকের চুল তাদের পছন্দমত করেই কেটে দিই’। কোনও চাহিদা নেই রবিনের, যে যত পারিশ্রমিক দেয় তাই তিনি নেন হাসিমুখে। ঠিক কী ভাবে কাটতে হয়, প্রশ্ন করলে তিনি জানান, আগে চুল ভিজিয়ে নিতে হয়। তারপর কাঁচি আর ক্ষুরের সাহায্যে কেটে নিয়ে রং করতে হয়। ব্যাস। এবার আপনি যা চান। যে দলের হয়ে নিজেকে সাজাতে চান, ঢুঁ মারুন রবিনের সেলুনে। হয়ে উঠুন রাজনীতির সিম্বল।
আরও পড়ুন, Raigunj: বৃষ্টির কামনায় কার্ড ছাপিয়ে টোপর পরিয়ে বট-পাকুরের বিয়ে, পাত পেড়ে খেলেন ২২০০ জন!
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)