রান্নার গ্যাস নিয়ে মহাসমস্যায় হাউজিং কমপ্লেক্সগুলি
রান্নার গ্যাসে ভর্তুকির নয়া ফরমানের পর গোটা বছরের জন্যই দ্বিগুনের বেশি বেড়ে গেল দামের বোঝা। এই সমস্যা শহরের বড় বড় হাউজিং কমপ্লেক্সগুলিতে। সরাসরি এই আবাসনগুলিতে ঘরে ঘরে এলপিজি পৌঁছয় না। গ্যাস ব্যাঙ্কের মাধ্যমে পাইপলাইনে তা ব্যবহার করেন গ্রাহকরা। তাই ভর্তুকি ব্যতিরেকে সারা বছরের জন্য বাড়তি দামে এলপিজি কিনতে হবে তাদের।
রান্নার গ্যাসে ভর্তুকির নয়া ফরমানের পর গোটা বছরের জন্যই দ্বিগুনের বেশি বেড়ে গেল দামের বোঝা। এই সমস্যা শহরের বড় বড় হাউজিং কমপ্লেক্সগুলিতে। সরাসরি এই আবাসনগুলিতে ঘরে ঘরে এলপিজি পৌঁছয় না। গ্যাস ব্যাঙ্কের মাধ্যমে পাইপলাইনে তা ব্যবহার করেন গ্রাহকরা। তাই ভর্তুকি ব্যতিরেকে সারা বছরের জন্য বাড়তি দামে এলপিজি কিনতে হবে তাদের।
ভর্তুকিতে মিলবে মাত্র ৬টি এলপিজি সিলিন্ডার। বাকিগুলি কিনতে হবে বাজারদরে। এই নির্দেশে মধ্যবিত্ত যখন আতান্তরে, তখন আরও বড় দুঃসংবাদ পেলেন পঞ্চসায়রের উপহার হাউজিং-এর এলআইজি ও এমআইজি স্কিমের বাসিন্দারা। নির্দিষ্টভাবে কোনও বাড়িতে রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার আসে না। আবাসনের গ্যাস ব্যাঙ্কে সরবরাহ হয় গ্যাস। তারপর পাইপলাইনের মাধ্যমে তা পৌঁছয় প্রতিটি ঘরে। সেখানে বসানো রয়েছে মিটার। যে ফ্ল্যাটে যতটা গ্যাস ব্যবহার হচ্ছে, সেই অনুযায়ী আসে বিল। এখানেই বিপত্তি। সরবরাহকারী সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গোটা হাউজিং-কে তারা একটি ইউনিট ধরে গ্যাস সরবরাহ করতেন। এই ব্যবস্থার পোষাকি নাম রিটিকিউলেটেড গ্যাস লাইন (RETICULATED GAS LINE)। ভর্তুকির নতুন নিয়মে দশই অক্টোবরের পর থেকে প্রতি কেজি এলপিজির জন্য বাসিন্দাদের ২৮টাকা ২৩ পয়সার বদলে দিতে হবে ৬৪ টাকা ২৯ পয়সা।
নামে ঝাঁ চকচকে হাউজিং এস্টেট হলেও উপহার `এলআইজি এমআইজি` স্কিমে মূলত নিম্ন মধ্যবিত্তের বাস। হেঁশেলে সরাসরি আসা এই আঘাতে প্রতিটি পরিবারের সংসার খরচ গড়ে দেড় থেকে ২ হাজার টাকা বাড়বে। তাই পুজোর মুখে দুশ্চিন্তার ভাঁজ বাসিন্দাদের কপালে।