নির্দেশই সার! শহরের বিভিন্ন দোকানে চলছে দেদার গুটকা বিক্রি
গুটকা বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে ছ’বছর আগেই। এবছর সেই নির্দেশিকার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকা অনুযায়ী ৭ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার থেকে রাজ্যে গুটকা এবং তামাকজাত পানমশলা বিক্রি বন্ধ। সেই নির্দেশিকা শুধু মাত্র কাগজে-কলমে। কারণ, বাস্তবে সেই নির্দেশিকার কোনও প্রভাব দেখা যায় নি। শহরের বিভিন্ন দোকানে দেদার বিকোচ্ছে গুটকা।
গুটকা বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে ছ’বছর আগেই। এবছর সেই নির্দেশিকার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর থেকে তা কার্যকর করার কথা ছিল। কিন্তু কলকাতার রাস্তায় নেমে দেখা গেল পুরো উল্টো ছবি। যাকে বলা যায় ‘ডোন্ট কেয়ার’। হাসপাতালের বাইরে হোক বা প্রশাসনিক কার্যালয়ের বাইরে ছোট দোকানে দেদার বিক্রি হচ্ছে গুটকা এবং তামাকজাত পানমশলা। তাদের মধ্যে অনেকে বিক্রেতাই বলছেন, "কি করব। আগের মজুত ছিল। সেটা বিক্রি করছি।" আবার কেউ বলছেন, "সেই ভাবে নির্দেশিকা জানি না। তেমন প্রচার হয়নি।"
পুলিস মহলের একাংশ বলছেন, গুটখা বিক্রি বন্ধের জন্য অভিযান চালানোর তেমন নির্দেশিকা নেই। প্রসঙ্গত, এখন গুটকার ধরণ বদলেছে। একটি প্যাকেটে পানমসলা অন্য একটি প্যাকেটে জর্দা। আগেরও মতো এক সঙ্গে মিশিয়ে বিক্রি হয় না। কেই আবার জর্দার প্যাকেট লুকিয়ে বিক্রি করছেন।
আরও পড়ুন - হঠাত্ অশীতিপর নবনীতার জন্য এত শোক কিসের...