ক্ষমতা থাকলে ভোটে জিতে দেখাক, সৌমিত্রকে চ্যালেঞ্জ অভিষেকের
সৌমিত্র খাঁ তাঁর এমপি ল্যাডের টাকা কতটা খরচ করেছেন, সেই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি। এই দল বদলে ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে কোনও প্রভাব পড়বে না বলেও তিনি জানিয়েছেন।
![ক্ষমতা থাকলে ভোটে জিতে দেখাক, সৌমিত্রকে চ্যালেঞ্জ অভিষেকের ক্ষমতা থাকলে ভোটে জিতে দেখাক, সৌমিত্রকে চ্যালেঞ্জ অভিষেকের](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2019/01/09/168250-absk.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদন: দলবদলের কয়েক মিনিটের মধ্যেই পরই কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে পড়লেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। তাঁকে ভোটে জিতে ক্ষমতার দেখানোর চ্যালেঞ্জ ছোড়া হল। চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: বিজেপিতে যোগ দিলেন তৃণমূলের সাংসদ সৌমিত্র খান
মঙ্গলবার রাতে আচমকাই একটি ফেসবুক লাইভ করেন সৌমিত্র খাঁ। তিনি তখনও তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ। ওই লাইভে তিনি জানান, তাঁকে খুন করার চক্রান্ত হচ্ছে। তাঁর আপ্তসহায়ককে অপহরণ করা হয়েছে।
বিষয়টি সামনে আসতেই হইচই পড়ে যায়। কারণ, তাঁর অভিযোগের তির ছিল এক সরকারি অফিসারের দিকে। বুধবার জল আরও গড়ায়। দলবিরোধী কাজের অভিযোগে সকালেই সৌমিত্র খাঁকে বহিষ্কার করা হয় বলে তৃণমূলের তরফে জানা যায়।
ইতিমধ্যে নয়াদিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে গিয়ে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখান সৌমিত্র খাঁ। তৃণমূলের সমালোচনা করেন। বলেন, ''বাংলার যুবকদের নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে।''
আরও পড়ুন: দলবিরোধী কাজের জন্য সকালেই সৌমিত্রকে বহিষ্কার করেছে, দাবি তৃণমূলের
এর পরই তাঁর কড়া সমালোচনা করেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, ২০১১ সালে কোতুলপুরে কংগ্রেস-তৃণমূল জোটের প্রার্থী হিসেবে জিতেছিলেন। ওই জয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্যই সম্ভব হয়েছিল। তাই অভিষেকের চ্যালেঞ্জ, ক্ষমতা থাকলে জিতে দেখাক সৌমিত্র। পাশাপাশি সৌমিত্র খাঁ তাঁর এমপি ল্যাডের টাকা কতটা খরচ করেছেন, সেই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি। এই দল বদলে ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে কোনও প্রভাব পড়বে না বলেও তিনি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: এতো সবে শুরু, সৌমিত্র খানের দলবদল নিয়ে বললেন দিলীপ ঘোষ
এদিকে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ''সৌমিত্র খাঁ আর কয়েকদিন মাত্র এমপি আছে। দল থেকে সরিয়ে দিয়েছি। এক বছর ধরে বিভিন্ন রকম বিতর্কে সৌমিত্র জড়িয়ে পড়ে। সংগঠনের সঙ্গে কোনওরকম যোগ ছিল না। অনেক অপেক্ষা করা হয়েছে।''
অন্যদিকে পুরমন্ত্রী তথা কলকাতায় মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত মাথায় না থাকলে সে কিছু নয়। জিরো।