সুদীপ্তর মৃত্যু নিয়ে কাটছে না ধোঁয়াশা, শ্লথ তদন্ত
সুদীপ্ত গুপ্তর মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে তদন্তকারীদের মধ্যেই বেশ কিছু ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। ফলে তদন্তের কাজও খুব বেশি দূর এগোয়নি। অন্যদিকে এই ঘটনাতেই আজ রাজ্য মানবাধিকার কমিশনে গিয়ে বয়ান দিয়েছেন ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ডোনা গুপ্ত। সুদীপ্তর মৃত্যুতে মোট তিনটি মামলা দায়ের হয়েছে। বাসচালকের বিরুদ্ধে বেপরোয়া গাড়ি চালানো এবং গাফিলতির কারেণে খুনের দায়ে মামলা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ানের ভিত্তিতে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের হয়েছে। আর এসএফআই কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে সংঘর্ষ এবং খুনের চেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে।
সুদীপ্ত গুপ্তর মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে তদন্তকারীদের মধ্যেই বেশ কিছু ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। ফলে তদন্তের কাজও খুব বেশি দূর এগোয়নি।
অন্যদিকে এই ঘটনাতেই আজ রাজ্য মানবাধিকার কমিশনে গিয়ে বয়ান দিয়েছেন ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ডোনা গুপ্ত। সুদীপ্তর মৃত্যুতে মোট তিনটি মামলা দায়ের হয়েছে। বাসচালকের বিরুদ্ধে বেপরোয়া গাড়ি চালানো এবং গাফিলতির কারেণে খুনের দায়ে মামলা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ানের ভিত্তিতে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের হয়েছে। আর এসএফআই কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে সংঘর্ষ এবং খুনের চেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে।
সুদীপ্তর মৃত্যুতে পুলিসকে দায়ী করে এসএফআই সমর্থকদের করা মামলার তদন্ত করছে গোয়েন্দা বিভাগের হোমিসাইড শাখা। বাস চালকের বিরুদ্ধে এবং এসএফআই সমর্থকদের বিরুদ্ধে করা দুটি মামলার তদন্ত করছে গুণ্ডা দমন শাখা।
এই তদন্ত করতে গিয়েই তৈরি হয়েছে বেশ কিছু ধোঁয়াশা। বাস চালকের সঙ্গে কথা বলেও গোয়েন্দারা বুঝতে পারছেন বাসটি অতটা বাঁদিকে গেল কী করে? এই ধোঁয়াশা কাটতে পারত যদি জেলের সামনে বসানো ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় বাসের ছবি পাওয়া যেত। কিন্তু কোনও ক্যামেরাতেই বাসের ছবি আসেনি।
উত্তর থেকে দক্ষিণ দিকে যাওয়া একটি বাস থেকে ধাক্কা খেলে পোস্টের উত্তর দিকে ধাক্কা খাওয়ার কথা। কিন্তু ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা দাগ দিয়েছেন পোস্টের উত্তর-পশ্চিম দিকে। ওই জায়গায় ধাক্কা কীভাবে লাগে?
বাসের গেটে সুদীপ্ত একা ছিলেন না। অনেকেই ছিলেন। সেই অবস্থায় অনেকেই ঝুলতে থাকলে শুধু সুদীপ্তর কেন আঘাত লাগল? তাঁর পাশে থাকা অন্যরাও আহত হতেন। কিন্তু তা হননি।
এরসঙ্গে সেদিনের পুলিসি ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে পুলিস মহলে। গ্রেফতার হওয়া কাউকে হোমগার্ডরা আদৌ পাহারা দিয়ে নিয়ে যেতে পারেন না বলেই জানা গেছে। যদিও সেদিন যথেষ্ট সংখ্যক পুলিসকর্মী ছিল, তাসত্ত্বেও মাত্র দুজন হোমগার্ড দিয়ে এতজনকে পাহারার দায়িত্ব দেওয়া আদতে পুলিস কর্তাদের গাফিলতি বলেই মনে করা হচ্ছে।