চার মাসের লড়াই শেষে এল কলরবের জয়, আজ বিজয় মিছিলে যাদবপুর
যাদবপুর জিতল। জিতল হোক কলরব। শেষ পর্যন্ত চেয়ার ছাড়তে বাধ্য হলেন নাছোড় ভিসি। কাউকে কিছু না জানিয়ে, ভিসির পদত্যাগের খবর আচমকা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে জানিয়ে দেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। তারপর উল্লাসই উল্লাস।
মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার মাঝপথেই চিত্কার। এমনই সে জয়োল্লাস, যার সামনে কথা বলতে গিয়ে মাঝপথে থামতে হল মুখ্যমন্ত্রীকেও। খেলা হল অকাল হোলি। জয়ের রঙে একে অপরকে রাঙিয়ে দিলেন ছাত্রছাত্রীরা। হাতের কাছে ঢাক-ঢোল নেই তো কী হয়েছে! সামনে জলের ড্রাম। আর জলের বোতল হয়ে উঠল ড্রামস্টিক।
কোলাকুলি..মিষ্টিমুখ। সব মিলে বিজয়োল্লাসে কোনও খামতি রাখেনি যাদবপুর। রাখবেই বা কেন! এই দিনটার জন্যই তো অপেক্ষা করতে হয়েছে চার-চারটি মাস। কখনও পথে নেমে হোক কলরব। কখনও সমাবর্তন অনুষ্ঠানের মঞ্চ। প্রতিবাদের সুর। হোক কলরব। ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদ। নাম, হোক কলরব। পথে এসেছে বহু চাপ। আন্দোলন থেকে পিছিয়ে আসার জন্য। কিন্তু মাথা নোয়াননি পড়ুয়ারা। বন্ধ হয়নি প্রতিবাদ। থামেনি কলরব। শুধু রূপ বদলেছে। তাই কখনও গাছতলায় ক্লাস করে, কিংবা কখনও গণভোট। সবশেষে আমরণ অনশন। প্রতি পদে যাদবপুর বুঝিয়ে দিয়েছে, দাবি থেকে পিছিয়ে আসার প্রশ্নই নেই। আর দাবি একটাই। সরে যেতে হবে উপাচার্যকে।
দিনে দিনে কলেবরে বেড়েছে কলরবের সমর্থক সংখ্যাটাও। তাই তো, আশির কোঠায় বয়স হলেও হাওড়া থেকে যাদবপুর ছুটে আসতে পারেন সমব্যথীরা। শেষপর্যন্ত পড়ুয়াদের চাপের মুখে নতিস্বীকার করে সরে যেতে বাধ্য হলেন উপাচার্য। জয় ছাত্র আন্দোলনের। জয় হোক কলরবের। জয়ী যাদবপুর....