শিল্পের বাজারে মন্দা, মুখ থুবড়ে পড়েছে কলকাতা পুর সভার বিল্ডিং বিভাগের আয়
রাজ্যে শিল্পে মন্দার প্রভাবে টান পড়েছে পুর-বিল্ডিংয়ের ভাঁড়ারেও। মুখ থুবড়ে পড়েছে কলকাতা পুরসভার বিল্ডিং বিভাগের আয়। আয় কমেছে প্রায় ৯৫ কোটি টাকা। ঘাটতি মিটবে কীভাবে, তা নিয়ে কপালে চিন্তার ভাঁজ পুরকর্তাদের। যত দিন যাচ্ছে, ততই আয় কমছে কলকাতা পুরসভার। কয়েক মাস পর বিধানসভা ভোট। এরপরই হিড়িক পড়ে যাবে নতুন প্রকল্প ঘোষণা, শিলান্যাসের। কিন্তু টাকা কোথা থেকে আসবে, সেটাই এখন চিন্তার কারণ পুরকর্তাদের। পুর কোষাগারে মূল অর্থের জোগান আসে বিল্ডিং প্ল্যান থেকে নিকাশি, জলের সংযোগ থেকে। এছাড়া আসে লাইসেন্স থেকেও।
ব্যুরো: রাজ্যে শিল্পে মন্দার প্রভাবে টান পড়েছে পুর-বিল্ডিংয়ের ভাঁড়ারেও। মুখ থুবড়ে পড়েছে কলকাতা পুরসভার বিল্ডিং বিভাগের আয়। আয় কমেছে প্রায় ৯৫ কোটি টাকা। ঘাটতি মিটবে কীভাবে, তা নিয়ে কপালে চিন্তার ভাঁজ পুরকর্তাদের। যত দিন যাচ্ছে, ততই আয় কমছে কলকাতা পুরসভার। কয়েক মাস পর বিধানসভা ভোট। এরপরই হিড়িক পড়ে যাবে নতুন প্রকল্প ঘোষণা, শিলান্যাসের। কিন্তু টাকা কোথা থেকে আসবে, সেটাই এখন চিন্তার কারণ পুরকর্তাদের। পুর কোষাগারে মূল অর্থের জোগান আসে বিল্ডিং প্ল্যান থেকে নিকাশি, জলের সংযোগ থেকে। এছাড়া আসে লাইসেন্স থেকেও।
কিন্তু দেখা যাচ্ছে ২০১৪-১৫ সালের আর্থিক বছরে, বাড়ির অনুমোদনে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২০৬ কোটি ৩২ লক্ষ টাকা। কিন্তু আয় হয়েছে ১১৩ কোটি ৪৩ লক্ষ টাকা।
নিকাশির অনুমোদন বাবদ আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৭ কোটি ১৭ লক্ষ টাকা। আয় হয়েছে ৩৪ কোটি ১৫ লক্ষ টাকা। ৫২ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা আয়ের লক্ষ্য ছিল জলের অনুমোদন থেকে। আয় হয়েছে ৪১ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা।
লাইসেন্স থেকে আয়ের লক্ষ্য ছিল ৪২ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকা। আয় হয়েছে ৩৫ কোটি টাকা।
আয় কমেছে পুরসভার বিল্ডিং বিভাগের। সে কারণে চলতি আর্থিক বছরে আয়ের লক্ষ্যমাত্রাও কমে হয়েছে ১২৯ কোটি ৫২ লক্ষ টাকা।
কিন্তু কেন কমছে আয়? পুর আধিকারিকদের মতে, শিল্পের বাজারে মন্দার প্রভাব পড়েছে পুর বিল্ডিং বিভাগে বড় আবাসন এবং অফিস বিল্ডিং থেকে আয় তলানিতে ঠেকেছে শিল্প না থাকায় আয় কমছে ২৫ লক্ষের ওপরের দামের ফ্ল্যাটের
এছাড়াও রয়েছে কাউন্সিলর থেকে শাসক দলের দাদাগিরি। তবে এসব মানতে নারাজ মেয়র।
কর্তার ইচ্ছায় কর্ম। মুখ বুজে তাই অভাবের সংসার সামাল দিতে বাধ্য হচ্ছেন বিভিন্ন বিভাগের আধিকারিকরা। কিন্তু পরিস্থিতিটা খুবই জটিল। পুর অর্থ দফতরের কর্তাদের আশঙ্কা, পুরকোষের অভাবের জের গিয়ে পড়বে না তো অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের পেনশনে?