Kunal Ghosh: 'পদ ছাড়লে কর্মী থাকব, কর্মীর অধিকার কেড়ে নিলে সমর্থক থাকব....'
তৃণমূল ছাড়ার জল্পনা উড়িয়ে দিলেন কুণাল ঘোষ। বললেন, 'উত্তর কলকাতায় যে একটা গুরুতর সমস্যা চলছে সাংগঠনিক, সেটা তো দলকে বারবার জানানো হয়েছে। দলের উত্তর কলকাতা ডেক্স ছিল, তার যে ইনচার্জ ছিল। সে এই সমস্যা নিয়ে কাজ করতে গিয়ে, তাঁকে বদলি করে দেওয়া হয়েছে, কারও চাপে'।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: 'তৃণমূল থেকে আমি যাচ্ছি না'। দলত্যাগের জল্পনা উড়িয়ে দিলেন কুণাল ঘোষ। বললেন, 'কোনও সমস্যা বারবার বলা হয়েছে, কোনও সমাধান হয়নি। মুখ ফুটে বলার জন্য, যদি কোনও একজন কর্মীকে শোকজের চিঠি, সাসপেন্ড, বহিষ্কার,.. আমি প্রস্তুত আছি। পদ ছাড়লে কর্মী থাকব, কর্মীর অধিকার কেড়ে নিলে সমর্থক থাকব'।
ঘটনাটি ঠিক কী? 'বেসুরো' কুণাল ঘোষ! স্রেফ তৃণমূলের জোড়া পদ থেকে ইস্তফা নয়, তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর রীতিমতো খড়গহস্ত তিনি। কুণালের মতে, 'উত্তর কলকাতা ১৯৫২ সাল থেকে কোনওদিন মহিলা সাংসদ পাইনি। ফলে দল এবার বিবেচনা করুক, এক মহিলা...ডা.শশী পাঁজা হতে পারেন বা অন্য দল যাকে চাইবে, তিনি হতে পারেন। দক্ষিণ তো মমতাদি রেকর্ড আছে। মালাদি এখন রয়েছেন। উত্তরে একবার মহিলা সাংসদ কেন হবে না? কেন একজন বারবার দাঁড়াতে চাইবেন, তিনি সভাপতি হতে চাইবেন, তিনি-ই সভাপতি হতে চাইবেন। তাঁর স্ত্রীকেই এমএলএ করতে হবে। এটাই তো জমিদারি। আমরা তো এর বিরুদ্ধেই লড়ছি'।
তাহলে কি এবার তৃণমূল ছাড়ছেন? কুণাল বলেন, 'উত্তর কলকাতায় যে একটা গুরুতর সমস্যা চলছে সাংগঠনিক, সেটা তো দলকে বারবার জানানো হয়েছে। দলের উত্তর কলকাতা ডেস্ক ছিল, তার যে ইনচার্জ ছিল। সে এই সমস্যা নিয়ে কাজ করতে গিয়ে, তাঁকে বদলি করে দেওয়া হয়েছে। কারও চাপে। সুতরাং দলের মধ্যে বলতে হবে, এই কথাটা আসছে কোথা থেকে! দলের মধ্যে তো বারবার বলা হয়েছে। আমি শৃঙ্খলাবদ্ধ কর্মী হতে রাজি আছি। কিন্তু শৃঙ্খলবদ্ধ...ওই তত্ত্বে বিশ্বাস করি না। তারজন্য আমাকে যদি শোকজ করা হয়, আমি সেই প্রেমপত্র আনন্দের সঙ্গে গ্রহণ করতে প্রস্তুত আছি'।
আরও পড়ুন: Birbhum | Anupam Hazra: বোলপুরে প্রার্থীর নাম ঘোষণা বিজেপি-র, ফেসবুকে পোস্ট অনুপম হাজরার
এর আগে, যেদিন তৃণমূলের মুখপাত্র ও রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে ইস্তফা দেন, সেদিন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে 'একটা বড় সাইজের শাহাজাহান' বলে কটাক্ষ করেছিলেন কুণাল। বলেছিলেন, 'উত্তর কলকাতায় বিজেপির ২টো প্রার্থী। একটা পদ্মফুলে, একটা জোড়াফুলে। ফলে ওখানে বিজেপি হারাতে ঠিক কীভাবে ল়ড়াই করতে হবে, না হবে, আমাদের একটু বিভ্রান্তি আছে। সন্দেশখালিতে শাহাজাহান ধরা পড়ে থাকে, আজকে বলা হচ্ছে আমরা জানতাম না, জানতাম না। উত্তর কলকাতায় সুদীপটা একটা বড় সাইজের শাহাজাহান। পরে যদি কেউ বলে, জানতাম না জানতাম, দলকে সমস্তক জানানো হয়েছে, তারপরেও যদি কেউ বলে জানতাম না, জানতাম না। ভবিষ্যতে দেখা যাবে'।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)