Justice Abhijit Ganguly: 'তিনি বল বাড়িয়ে দিচ্ছিলেন, আর বিরোধীরা খেলছিল'
'একটা নেতিবাচক বাতাবরণ তৈরির চেষ্টা করছিলেন। দলের একজন সৈনিক বা মুখপাত্র হিসেবে আমি আমার কর্তব্য পালন করেছি'। প্রতিক্রিয়া কুণাল ঘোষের।
শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বেঞ্চ বদল। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সরলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। 'তিনি বল বাড়িয়ে দিচ্ছিলেন, আর বিরোধী খেলছিল', বললেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সিবিআই দফতরে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আবার চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছেন তৎকালীন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়েকে! এমনকী, মানিক ভট্টাচার্য সম্পর্কে রীতিমতো কড়া মন্তব্য করেন তিনি।
সেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেই এবার রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। কারণ, বিচারাধীন বিষয়ে মুখ খুলেছেন কলকাতা হাইকোর্টের এই বিচারপতি! এদিন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, 'ওনার প্রতি আমার শ্রদ্ধা অটুট। কিন্তু আপত্তি একটা জায়গাতেই ছিল। আইনের পরিধি বাইরে গিয়ে, নিজস্ব রাজনৈতিক ইচ্ছা অনুসারে আমার দল বা আমার নেতানেত্রীদের বিদ্ধ করার চেষ্টা করছিলেন। একটা নেতিবাচক বাতাবরণ তৈরির চেষ্টা করছিলেন'।
এদিকে সুপ্রিম কোর্টের সেক্রেটারি জেনারেলকে পালটা নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়। তাঁর সাফ কথা, 'আমি রাত ১২টা ১৫ পর্যন্ত চেম্বারে অপেক্ষা করব। রিপোর্টে পাঠানো অনুবাদ কপি সহ কোন রিপোর্ট আদালতে জমা পড়েছে সেটা দেখতে চাই। আমার কাজ শেষ হয়নি। রিপোর্টটা দেখি'। তাঁর আরও বক্তব্য, 'আমি কুণাল ঘোষকে প্রণাম জানাব। তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, সেটা ফলে গিয়েছে। আমার জানা ছিল না'।
আরও পড়ুন: Joka Metro: মোদীর হাত ধরে যাত্রা শুরু, নতুন নিয়মে ঘুরে দাঁড়াবে ধুঁকতে থাকা জোকা মেট্রো?
এর আগে, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত কুন্তল ঘোষের চিঠির সূত্র ধরে সিবিআই ও ইডি-কে নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সঙ্গে মন্তব্য়, 'অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় ও কুন্তল ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত'। কেন? তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, 'অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের টার্গেট অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিচারপতির কথার সঙ্গে আইনের সম্পর্ক নেই। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের তদন্ত নিয়ে বলার কোনও অধিকার নেই। বিচারপতির চেয়ারকে অপমান করবেন না, প্রয়োজনে টুলে দাঁড়িয়ে রাজনীতি করুন'।