কেমন হবে মদনের জেল জীবন? ২৪ ঘণ্টার বিশেষ রিপোর্ট
সারদা কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়ার পর আজই প্রথম মদন মিত্রের হাজতবাস। এর আগে সিবিআই হেফাজত থেকে জেল হয়ে সোজা চলে গিয়েছিলেন হাসপাতালে। ঢুকতে হয়নি কারাগারে। কেমন হবে মন্ত্রীর কারাবাস? ২৪ ঘণ্টার বিশেষ প্রতিবেদন।
কলকাতা: সারদা কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়ার পর আজই সম্ভবত হতে চলেছে মদন মিত্রের প্রথম হাজতবাস। এর আগে সিবিআই হেফাজত থেকে জেল হয়ে সোজা চলে গিয়েছিলেন হাসপাতালে। ঢুকতে হয়নি কারাগারে। কেমন হবে মন্ত্রীর কারাবাস? ২৪ ঘণ্টার বিশেষ প্রতিবেদন।
ছ ফুট বাই চার ফুটের ছোট্ট একটা কুঠুরি। তিন দিক বন্ধ, একদিক খোলা। রাতে হুহু করে ঢোকে ঠাণ্ডা হাওয়া। কুঠুরির মধ্যেই বাথরুম। মাঝে শুধু একটা চার ফুটের পাঁচিল। বন্দিদের জন্য বরাদ্দ মাত্র একটা কম্বল। আর আদালত থেকে অনুমতি পেলে মেলে একটা চাদর। সেটা পেতেই মেঝেতে শুতে হয় সংশোধনাগারের বাসিন্দাদের। মন্ত্রী থেকে আন্ডার ওয়ার্লড ডন, সকলের জন্যই এক ব্যবস্থা। শুধুমাত্র বাথরুমে ব্যবহারের জন্য মেলে একট মগ। জেলের খাবারই খেতে হয় । কদাচিত মেলে বাড়ির খাবার।
মদন মিত্র। রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী। এবং ক্রীড়াও। সারদা কাণ্ডে সিবিআই গ্রেফতার করার পর প্রথমে কিছু দিন ছিলেন সিবিআই হেফাজতে। তার পর আদালতের নির্দেশে জেল যাত্রা। সে যাত্রায় অফিস ঘরের চৌকাঠও পার হননি মন্ত্রী। কিছু ক্ষণের মধ্যেই চলে যান এসএসকেএম হাসপাতালে। তিনি প্রথম ভর্তি হন কার্ডিওলজি বিভাগে। রাতেই চলে যান ভিভিআইপিদের জন্য নির্দিষ্ট উডবার্ন ওয়ার্ডে। উডবার্ন ওয়ার্ড মানেই হাতের কাছে সব কিছু। সে সব ছেড়ে মন্ত্রী কে এখন রাত কাটাতে হবে চর ফুট বাই ছয় ফুট কুঠুরিতে।
মন্ত্রীদের জন্য আলাদা কোনও ব্যবস্থা নেই জেলে? জেল কর্তৃপক্ষের জবাব সংশোধনাগারে পাত্র, মিত্র সবাই সমান। সকলের জন্য এক ব্যবস্থা। একই খাবার। তবে হ্যাঁ মন্ত্রী চাইলে জেল হাসপাতালের খাবার দেওয়া হবে তাঁকে। মেনু রুটি আর ছোলার ডাল।
মন্ত্রীর কাছে আটটি মোবাইল থাকে। জেলে মোবাইল ছোঁয়া একেবারে নিষিদ্ধ। সকাল দশটা থেকে রাত দুটো পর্যন্ত সপরারিষদ ব্যস্ত থাকতে হয় মন্ত্রীকে। জেলে এক্কেবারে একা!
মামলা চলছে। পাশে রয়েছে দল । রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীও। মনসিক ভাবে দলের সকলেই মদন মিত্রের পাশে। কিন্তু জেলে তাঁকে কাটাতে হবে একাই। এক্কেবারে একা!