ছুটির মেজাজে আজ কাজের দিনে মমতার ডাকে ব্রিগেড সমাবেশ, রেকর্ড সংখ্যাক ভিড়ের আশায় তৃণমূল
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে আজ ব্রিগেড সমাবেশ। আজ দুপুর ২টো থেকে শুরু হবে সভা। তাই শহরে জনতার ঢল। অবশ্য সকাল থেকেই যেভাবে ঘিরে ব্রিগেড ময়দানে ভিড় জমাতে শুরু করেছেন তৃণমূল কর্মী- সমর্থকেরা তাতে জনতার ঢল যে জনতার স্রোতে পরিণত হতে চলেছে সেটা বলাই যায়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে আজ ব্রিগেড সমাবেশ। আজ দুপুর ২টো থেকে শুরু হবে সভা। তাই শহরে জনতার ঢল। অবশ্য সকাল থেকেই যেভাবে ঘিরে ব্রিগেড ময়দানে ভিড় জমাতে শুরু করেছেন তৃণমূল কর্মী- সমর্থকেরা তাতে জনতার ঢল যে জনতার স্রোতে পরিণত হতে চলেছে সেটা বলাই যায়।
হাওড়া ও শিয়ালদা স্টেশনে রাত কাটিয়ে পায়ে হেঁটে ব্রিগেড ময়দানে পৌঁছন তাঁরা। দুরদুরান্ত থেকে বাসে করেও আসেন অনেকে। এই সমাবেশ থেকেই লোকসভা ভোটের আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু করে দেবে তৃণমূল কংগ্রেস। লোকসভা ভোটে দলের প্রচারের অভিমুখ কী হবে সে কথাই আজ বলবেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ আজই হয়তো লোকসভায় দলের প্রার্থীপদ ঘোষণা করবেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
আজকের মঞ্চে মমতার আক্রমণের প্রধান লক্ষ্য হতে চলেছে সিপিআইএম ও কংগ্রেস। প্রতিবারই ব্রিগেড সমাবেশ কোনও না কোন চমক দেন নেত্রী। এবার সেই চমক কী থাকে সেটাই দেখার। তবে আসল প্রশ্ন হল অস্বস্তির ইস্যুগুলো নিয়ে তৃণমূল নেত্রী মুখ খোলেন কি না। দলের অন্দরেই টেট-কেলেঙ্কারি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। দলের একের পর এক নেতা-বিধায়কদের নাম জড়াচ্ছে এই কেলেঙ্কারিতে। সঙ্গে আছে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা, ধর্ষণ নিয়ে নানা প্রশ্ন। এটাই দেখার এইসব কেলেঙ্কারিতে ভুল শোধরানো বা সুশাসনের কথা বলেন নাকি সংবাদমাধ্যমের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে সস্তা জনপ্রিয়তার পথে হাঁটেন তিনি। জবাব দেবে ব্রিগেড, জবাব চাইছে জনতা।
ক্ষমতায় আসার পর মুখ্যমন্ত্রীই ঘোষণা করেছিলেন, কর্মব্যস্ত দিনে করা হবে না কোনও মিটিং মিছিল। কিন্তু ব্রিগেড সমাবেশ ডাকা হয়েছে আজ কাজের দিন বৃহস্পতিবারে। কেন এই অবস্থান বদল? তৃণমূল শীর্ষ নেতাদের দাবি, রাজনীতির প্রয়োজনে সবই করতে হয়।
ক্ষমতায় আসার পরই সাধারণ মানুষের অসুবিধার কথা মাথায় রেখে কর্মব্যস্ত দিনে সভা না করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তবে ক্ষমতায় আসার আড়াই বছর পর তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশ হচ্ছে সপ্তাহের কাজের দিন বৃহস্পতিবারেই। তৃণমূলের শীর্ষ নেতাদের দাবি, লোকসভা ভোটকে সামনে রেখে ডাকা ব্রিগেডের এই সভার ভিড় ছাপিয়ে যাবে আগের সব সমাবেশের রেকর্ড।
কিন্তু ছুটির দিনে সভা না করে কেন কাজের দিনে সভা ? রাজনীতির প্রয়োজনে সবই করতে হয়, দাবি তৃণমূল নেতাদের।
তাহলে যাঁরা সেদিন অফিস মুখো হবেন তাঁরা কী করবেন ? মন্ত্রীরা বলছেন, ওতে বিশেষ কোনও অসুবিধা হবে না।
বৃহস্পতিবার বেলা দুটো থেকে শুরু হবে সভা। তার আগে বিভিন্ন জেলা থেকেও আসবেন তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা। পুলিসের দাবি, সাধারণ মানুষ যাতে সমস্যায় না পড়েন সেবিষয়ে থাকবে কড়া নজরদারি।