বার্থ সার্টিফিকেট নিতে কলকাতায় আসছেন বিবিসির সাংবাদিক মার্ক টুলি
সামনের সপ্তাহেই কলকাতায় আসছেন প্রখ্যাত সাংবাদিক-সাহিত্যিক মার্ক টুলি। জন্মের শংসাপত্র নিতে তাঁর এই কলকাতা সফর। মেয়র পারিষদ স্বাস্থ্য অতীন ঘোষকে ফোনে আজ একথা জানিয়েছেন তিনি।
সামনের সপ্তাহেই কলকাতায় আসছেন প্রখ্যাত সাংবাদিক-সাহিত্যিক মার্ক টুলি। জন্মের শংসাপত্র নিতে তাঁর এই কলকাতা সফর। মেয়র পারিষদ স্বাস্থ্য অতীন ঘোষকে ফোনে আজ একথা জানিয়েছেন তিনি।
বহু বছরের পুরনো রেকর্ড ঘেঁটে জন্মের শংসাপত্র তৈরি করে দিতে পেরে খুশি কলকাতা পুরসভা। ১৯৩৫ সাল। ভারত তখন ব্রিটিশ শাসনাধীনে। উনিশশো পঁয়তিরিশেই কলকাতায় জন্ম মার্ক টুলির। দিনটা ছিল ২৪ অক্টোবর। এই তথ্যের ভিত্তিতেই কলকাতা পুরসভার কাছে জন্মের শংসাপত্র চেয়ে পাঠান প্রখ্যাত সাংবাদিক সাহিত্যিক মার্ক টুলি। অনাবাসী ভারতীয়র তকমা পেতে বার্থ সার্টিফিকেট পাওয়া নিতান্ত জরুরি হয়ে পড়ে টুলির কাছে। সেজন্য চলতি বছরের পাঁচই অগাস্ট মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে চিঠি লেখেন বিবিসির দিল্লির ব্যুরোর প্রাক্তন চিফ মার্ক টুলি। চিঠি পেয়েই তত্পর হয় কলকাতা পুরসভা। কিন্তু খোঁজ করতে গিয়ে দেখা যায় ওই সময়কার রেকর্ড পুরসভার কাছে নেই। কারণ উনিশ পয়তিরিশ সালে টালিগঞ্জ এলাকার রিজেন্ট পার্কে জন্মেছিলেন টুলি। ওই এলাকা তখন ছিল টালিগঞ্জ মিউনিসিপ্যালিটির অধীনে। টালিগঞ্জ মিউনিসিপ্যালিটির রেজিস্ট্রেশন হতো আলিপুর বার্থ এন্ড ডেথ রেজিস্ট্রেশন অফিসে। কিন্তু খোঁজাখুজির পর তারাও জানায় ওই নথি নেই। শেষ পর্যন্ত রাজ্যের মহাফেজখানার কাছে নথি চায় কলকাতা পুরসভা। কলকাতা পুরসভার কর্মীরা উদ্যোগী হয়ে মহাফেজখানা থেকে ওই নথি বের করেন। এরপরেই মার্ক টুলির জন্মের শংসাপত্র তৈরি কর ফেলে কলকাতা পুরসভা। ,সেই শংসাপত্র নিচে আগামী সপ্তাহেই কলকাতায় আসছেন বিবিসির এই প্রখ্যাত প্রাক্তন সাংবাদিক মার্ক টুলি।
দীর্ঘ তিরিশ বছর চাকরি করেছেন বিবিসিতে। কুড়ি বছর দিল্লি ব্যুরোর চিফ ছিলেন তিনি। সাহিত্য জগতেও তার উজ্জ্বল উপস্থিতি। এই ধরনের ব্যক্তিত্বের প্রয়োজনে সাড়া দিতে পেরে খুশি কলকাতা পুরসভা।