তৃণমূলের দোলা সেনই তো বিজেপির সমর্থনে জিতেছে, সব্যসাচীর সঙ্গে বৈঠকে মুকুল
মমতার সঙ্গে বিধায়কদের বৈঠকে গরহাজির থাকলেন সব্যসাচী দত্ত।
![তৃণমূলের দোলা সেনই তো বিজেপির সমর্থনে জিতেছে, সব্যসাচীর সঙ্গে বৈঠকে মুকুল তৃণমূলের দোলা সেনই তো বিজেপির সমর্থনে জিতেছে, সব্যসাচীর সঙ্গে বৈঠকে মুকুল](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2019/07/11/200535-sabyasachi-1.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদন: বিকেলে দলীয় বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর দুপুরে সব্যসাচীকে দলে টানতে তত্পর হলেন মুকুল রায়। সটান হাজির হলেন সব্যসাচী দত্তর বাড়িতে। সঙ্গে সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া বনগাঁর বিধায়ক। মুকুল রায় স্পষ্ট জানালেন, দলবদল নয়, অনাস্থা মোকাবিলার রণনীতি নিয়েই হয়েছে আলোচনা।
দলীয় বিধায়কদের বৈঠকে বসলেন দলনেত্রী। আর জল্পনা জিইয়ে রেখে বিধায়কদের বৈঠকে গরহাজির থাকলেন সব্যসাচী দত্ত। উল্টে তৃণমূল ভবনে যখন বৈঠকের প্রস্তুতি তুঙ্গে, তখনই সব্যসাচীর বাড়িতে হঠাত্ হাজির মুকুল রায়। আবারও শুরু দলবদলের কানাঘুষো। মুকুল অবশ্য এদিন একা ছিলেন না। তাঁর সঙ্গে ছিলেন সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া বনগাঁর বিধায়ক। দলবদল নিয়ে আলোচনার জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছেন মুকুল রায়। এই বাড়িতেই আগেরবার এসে, লুচি-আলুরদম-তত্ত্ব দিয়েছিলেন। আর এবার? মুকুলের কথায়,'বিধাননগরের পরিস্থিতি নিয়ে ওর সঙ্গে কথা বলতে এসেছিলাম। দোলা সেনই তো রাজ্যসভায় বিজেপির সমর্থনে জিতল। দোলার জন্য মমতাই বিজেপির সমর্থন চেয়েছিলেন'।
সব্যসাচীকে মেয়র পদ থেকে সরাতে চায় দল। বিধাননগর পুরনিগমে ১৮ তারিখ ভোটাভুটি। কোণঠাসা মেয়র এদিনও দলের কোর্টেই বলটা ঠেলে দিলেন। বৈঠকে তো গেলেনই না, বরং সেই সময়ই বাড়িতে চল্লিশ মিনিট ধরে কথা বললেন মুকুল রায়ের সঙ্গে। আর বৈঠকের পর আগামী দিনে কী হতে চলেছে, তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে রাজনৈতিক মহলে।
আরও পড়ুন- জল বাঁচাতে রাস্তায় হাঁটবেন মমতা, মুখ্যমন্ত্রীর লেখা গানে কণ্ঠ দিলেন ইন্দ্রনীল