কতখানি সত্যি? NHRC রিপোর্ট যাচাইয়ে থানাকে ৩ ভাগে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ নবান্নের
মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে রাজ্যের শাসক দলকে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: 'ভোট পরবর্তী হিংসা' নিয়ে মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে উল্লেখিত সমস্ত ঘটনায় ধরে ধরে জেলা প্রশাসনের কাছে শুক্রবারই রিপোর্ট চেয়েছিলেন স্বরাষ্ট্র সচিব বিপি গোপালিকা। এবার আরও একধাপ এগিয়ে থানাভিত্তিক রিপোর্ট তৈরি করে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হল।
মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে রাজ্যের শাসক দলকে। একইসঙ্গে প্রশ্নের মুখে প্রশাসনও। কারণ ভোট-হিংসা প্রতিরোধ প্রশাসন দায়িত্ব পালন করেনি বলে কমিশনের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে। ফলে প্রতিটি ঘটনা ধরে ধরে জবাব দিতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার। গতকালই রিপোর্ট পাঠাতে বলা হয়েছিল সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনগুলিকে। শনিবার থানা ধরে রিপোর্ট পাঠানোর জন্য জেলা পুলিস সুপারদের নির্দেশ দিলেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব বিপি গোপালিকা।
৩ ভাগে রিপোর্ট দিতে থানাগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভোটের দিন ঘোষণার পর থেকে ফল ঘোষণার মধ্যে, ফল ঘোষণার দিন থেকে ৫ মে পর্যন্ত (আদর্শ আচরণবিধি বলবৎ ছিল) এবং ৫ মে-র পর থেকে এ পর্যন্ত যা যা ঘটনা ঘটেছে তার তথ্য জানাতে হবে। ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা থেকে জারি হয়েছিল আদর্শ আচরণবিধি। তা বিদ্যমান ছিল ৫ মে পর্যন্ত। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার দাবি করেছেন, একটাও হিংসার ঘটনা কাম্য নয়। কিন্তু সব ঘটনায় ঘটেছে যখন আইনশৃঙ্খলা নির্বাচন কমিশনের হাতে ছিল। তিনি শপথ নেওয়ার পর কড়া ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন পুলিসকে। তার পরে কোথাও হিংসাও হয়নি। আর যা একটা-দুটো ঘটনা ঘটেছে তা ব্যক্তিগত আক্রোশের কারণে। ফলত পুলিসের কাছে ৩ ভাগে তথ্য চেয়ে হিংসার সময়কাল জানতে চাইল রাজ্য সরকার। মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টের জবাব দিতে গিয়ে এটাই তুলে ধরা হবে।
নবান্ন সূত্রের খবর, থানাগুলিকে এও বলা হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শপথ নেওয়ার পর থেকে কোন থানায় কত অভিযোগ জমা পড়েছে, তারমধ্যে রাজনৈতিক হিংসার অভিযোগ কতগুলি তা পৃথকভাবে রিপোর্টে উল্লেখ থাকতে হবে। রাজনৈতিক খুনের অভিযোগ কতগুলিও থাকবে ওই রিপোর্টে।
আরও পড়ুন- মোদী-শাহের ঘরেই এবার Mamata-র ভাষণ, তৃণমূলের একুশ গুজরাটের ৩২ জেলায়