পশ্চিমবঙ্গে আর পিছিয়ে নেই পিছিয়ে পড়া জাতি
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সহযোগিতায় আর পিছিয়ে নেই পিছিয়ে পড়া শ্রেনী। এবার থেকে তারা তাদের সবরকম প্রয়োজনীয় নথি পেয়ে যাবে অন লাইনে। কাস্ট সার্টিফিকেট পেতেও এখন আগের থেকে অনেক কম সময় লাগে। আবেদনের ৪ সপ্তাহের মধ্যেই হাতে পাওয়া যাবে। আগে যেখানে সময় লাগত ৮ সপ্তাহ।
ওয়েব ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সহযোগিতায় আর পিছিয়ে নেই পিছিয়ে পড়া শ্রেনী। এবার থেকে তারা তাদের সবরকম প্রয়োজনীয় নথি পেয়ে যাবে অন লাইনে। কাস্ট সার্টিফিকেট পেতেও এখন আগের থেকে অনেক কম সময় লাগে। আবেদনের ৪ সপ্তাহের মধ্যেই হাতে পাওয়া যাবে। আগে যেখানে সময় লাগত ৮ সপ্তাহ। ২০১১-র পর থেকে সার্টিফিকেট পেয়েছেও অনেক বেশি মানুষ। আগে যা ছিল বছরে ২.৫ লক্ষ বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লক্ষ। তফশিলি জাতির শিক্ষার সুবিধার্থে সরকার চালু করেছে 'শিক্ষাশ্রী' প্রকল্প। পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীরা সরাসরি শিক্ষাশ্রীর স্কলারশিপের টাকা পাবে তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। উত্তরবঙ্গের কৃষকদের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চালু করেছেন 'উত্তরবঙ্গ সেচ সমবায় প্রকল্প। এই প্রকল্পের অধীনে জলপাইগুড়ি ও কোচবিহার জেলার প্রায় ২ হাজার কৃষক উপকৃত হয়েছেন।
এছাড়াও বেকার সমস্যার সমাধানে পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকার বেশ কিছু সু্যোগ সুবিধা চালু করেছে। ১৫ হাজার প্রার্থীকে রোজকারের সুযোগ করে দেওয়া হয়ছে। রোজকারের জন্য ৭ হাজার মহিলাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। সংরক্ষণের আওতায় সরকারের বিভিন্ন পদে নিয়োগ করা হয়ছে পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর লোকেদের। প্রথম পর্যায়ে ভর্তি করা হয়েছে ৩ হাজার ৩৫৪ শূণ্যপদ। পশ্চমবঙ্গ সরকারের সহযোগিতায় তফশিলি জাতির আইএএস ও ডব্লুবিসিএস পদপ্রার্থীরা দিল্লিতে প্রশিক্ষণের বিশেষ সুযোগ পাচ্ছে। গত তিন বছর ধরে তফশিলি কৃতি ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য চালু করা হয়েছে 'আম্বেদকর মেধা পুরস্কার'। এই পুরস্কারের আওতায় ১৭০০ জনেরও বেশি ছাত্র-ছাত্রীকে মাথাপিছু ৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে।