সল্টলেকের দত্তাবাদে শিশুকে বেধরক মারধরের অভিযোগ গ্রেফতার বাবা-মা!
সল্টলেকের দত্তাবাদে শিশুকে বেধরক মারধরের অভিযোগ গ্রেফতার বাবা ও মা। নির্যাতিত শিশুর আপাতত ঠাঁই হল সরকারি হোমে। অভিযোগ, আট বছরের শিশুকে দিয়ে কাপড় কাচানো, বাসন ধোয়ানো, খাবার পৌছানো, ঘরের যাবতীয় কাজ করাতো সত্ মা। আর না পারলেই বেধরক মারা হতো। শনিবার সত্ মায়ের হাত থেকে শিশুটিকে রক্ষা করে পড়শিরা। খবর দেয় পুলিসে। কতই বা বয়েস। মাত্র আট। এর মধ্যেই জানা হয়ে গেছে কত কী। জানা হয়ে গেছে কী করে কাপড় কাচতে হয়। কী করে কাপে ভরা গরম চা পৌছে দিতে হয়। কী করে ক্ষিদে পেলেও মুখ বুঝে থাকতে হয়। তিন বছর বয়সে মা মারা গেছে, ঘরে আসে সত্ মা। বাবা সারাদিন বাড়ির বাইরে, গাড়ি চালায়। রাতে এসে শোনে মেয়ের দিনভর দুষ্টুমির কথা। রাগ হয়ে যায়। বসিয়ে দেয় দু-এক ঘা। সারাদিন সত্ মায়ের অত্যাচার, রাতে ফের বাবার মার। সঙ্গত করে সত্ মাও। শিশুর বুক ফাটা আর্তনাদে কান্না পায় পড়শিদেরও । প্রতিদিনকার এই ঘটনায় বাধ ভাঙে শিশুটির সারা গায়ে খুন্তির ছ্যাঁকা,পোড়া আর কালশিটের দাগ। চোখেমুখে আতঙ্ক। পড়শিরা বলছেন, সল্টলেকের দত্তাবাদে এরকম নৃশংসতার ঘটনা তারা আগে দেখেননি।শনিবারই রাতে থানায় ডেকে পাঠানো হয় নির্যাতিত শিশুটির বাবা ও সত্ মাকে। রাতে থানায় মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান অভিযুক্ত বাবা,মা। বাবা দোষ স্বীকার করলেও, সত্ মায়ের সাফাই দুষ্টুমি করত বলেই মারধর করেছেন তিনি।
ওয়েব ডেস্ক: সল্টলেকের দত্তাবাদে শিশুকে বেধরক মারধরের অভিযোগ গ্রেফতার বাবা ও মা। নির্যাতিত শিশুর আপাতত ঠাঁই হল সরকারি হোমে। অভিযোগ, আট বছরের শিশুকে দিয়ে কাপড় কাচানো, বাসন ধোয়ানো, খাবার পৌছানো, ঘরের যাবতীয় কাজ করাতো সত্ মা। আর না পারলেই বেধরক মারা হতো। শনিবার সত্ মায়ের হাত থেকে শিশুটিকে রক্ষা করে পড়শিরা। খবর দেয় পুলিসে। কতই বা বয়েস। মাত্র আট। এর মধ্যেই জানা হয়ে গেছে কত কী। জানা হয়ে গেছে কী করে কাপড় কাচতে হয়। কী করে কাপে ভরা গরম চা পৌছে দিতে হয়। কী করে ক্ষিদে পেলেও মুখ বুঝে থাকতে হয়। তিন বছর বয়সে মা মারা গেছে, ঘরে আসে সত্ মা। বাবা সারাদিন বাড়ির বাইরে, গাড়ি চালায়। রাতে এসে শোনে মেয়ের দিনভর দুষ্টুমির কথা। রাগ হয়ে যায়। বসিয়ে দেয় দু-এক ঘা। সারাদিন সত্ মায়ের অত্যাচার, রাতে ফের বাবার মার। সঙ্গত করে সত্ মাও। শিশুর বুক ফাটা আর্তনাদে কান্না পায় পড়শিদেরও । প্রতিদিনকার এই ঘটনায় বাধ ভাঙে শিশুটির সারা গায়ে খুন্তির ছ্যাঁকা,পোড়া আর কালশিটের দাগ। চোখেমুখে আতঙ্ক। পড়শিরা বলছেন, সল্টলেকের দত্তাবাদে এরকম নৃশংসতার ঘটনা তারা আগে দেখেননি।শনিবারই রাতে থানায় ডেকে পাঠানো হয় নির্যাতিত শিশুটির বাবা ও সত্ মাকে। রাতে থানায় মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান অভিযুক্ত বাবা,মা। বাবা দোষ স্বীকার করলেও, সত্ মায়ের সাফাই দুষ্টুমি করত বলেই মারধর করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন হিডকোর জমিতে বেআইনি নির্মাণকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা, গ্রেফতার ৩
তবে একই সঙ্গে জানিয়েছেন আর এরকম হবে না। কিন্তু শিশুটি আর ফিরতে রাজি হয়নি বাবা-মার কাছে, বাড়ি ফেরার কথা শুনলেই আতঙ্কে কেঁদে উঠছে সে। এই মহিলার কোলেই দত্তাবাদের শিশুটি খুঁজে পেয়েছে মায়ের উষ্ণতা। মহিলাও পরম যত্নে কাছে টেনে নিয়েছেন ছোট্ট শিশুকে। লোকের বাড়ি রান্না করে দিন গুজরান। দুই সন্তানের মা। স্বামী রিকশা চালান। তারপরেও মায়ের কোল হারানো এই শিশুকেই সন্তানস্নেহে বড় করে তুলতে চান মহিলা। সকালে গ্রেফতার করা হয় নির্যাতিত শিশুর বাবা ও সত্ মাকে। কিন্তু শিশুটির কী হবে।আপাতত হোমে ঠাঁই হয়েছে দত্তাবাদের শিশুটির। চোখে আষাড় নিয়ে হোমের পথে দত্তাবাদের শৈশব।