মুখ্যমন্ত্রী সবুজ সংকেত দিলেই ভাঙা হবে বিপজ্জনক পোস্তা উড়ালপুল
২০১৬-র ৩১ মার্চের সকালে ভেঙে পড়ে নির্মিয়মান পোস্তা উড়ালপুলের একাংশ। তারপরই গঠন করা হয় চার সদস্যের এক বিশেষজ্ঞ কমিটি।
নিজস্ব প্রতিবেদন : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে চূড়ান্ত ছাড়পত্র পেলেই এবার ভেঙে ফেলা হবে পোস্তা উড়ালপুল। বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী পোস্তা থেকে বিবেকানন্দ রোড পর্যন্ত উড়ালপুলের অবশিষ্ট অংশটি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উড়ালপুল ভেঙে ফেলার জন্য অনুমতি চেয়ে সামনের সপ্তাহেই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব পাঠানো হবে।
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, উড়ালপুল ভেঙে ফেললে বেশ কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি হবে। তবে বিপদ এড়াতে উড়ালপুল ভেঙে ফেলারই পক্ষে রাজ্য সরকার। কংক্রিটের কাঠামো ভাঙার বিশেষজ্ঞ সংস্থা দিয়েই ভাঙা হবে উড়ালপুল। সম্পূর্ণ প্রক্রিয়ার তদারকি করবে পূর্ত দফতর। সরকারের তরফে টেন্ডার ডেকেই বরাত দেওয়া হবে কোনও বিশেষজ্ঞ সংস্থাকে। পাশাপাশি, এত বড় উড়ালপুল ভাঙার সময় দূষণের সম্ভাবনা রয়েছে। তাই উড়ালপুল ভাঙার সময় পার্শ্ববর্তী বাড়িগুলি পলিথিন শিট দিয়ে পুরোপুরি ঢেকে দেওয়া হবে বলে আপাতভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ব্রিজের দুপাশ ঘিরে দেওয়া হবে উঁচু টিনের শেড দিয়ে।
২০১৬-র ৩১ মার্চের সকালে ভেঙে পড়ে নির্মিয়মান পোস্তা উড়ালপুলের একাংশ। এরপরই পোস্তা উড়ালপুলের ভবিষ্যত নিয়ে সঠিক দিশা নির্ধারণে গঠন করা হয় একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি। তত্কালীন মুখ্যসচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায় ও খড়গপুর আইআইটি-র তিন অধ্যাপককে নিয়ে গঠিত কমিটি, ওই উড়ালপুলে যান চলাচলের বিপক্ষে মত দেয়।
আরও পড়ুন, রাজাবাগানে 'সঙ্গিনী'কে খুনের পর স্ত্রীর কাছে গিয়েই রাত কাটান অভিযুক্ত নাসরুল!
রিপোর্টে বলা হয়, উড়ালপুলটির নকসাগত ও কাঠামোগত ত্রুটি রয়েছে। অত্যন্ত নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে উড়ালপুলটি তৈরি করা হয়েছিল। পিলারের T ও অ্যাঙ্গেলে ত্রুটি থাকায় পিলারগুলির কার্যক্ষমতা কমে গেছে। দুর্বল ও ক্ষয়িষ্ণু ওই উড়ালপুলে যান চলাচল সম্ভব নয়। আবার উড়ালপুলটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকাও বিপজ্জনক। তাই নির্মিয়মান উড়ালপুলের বাকি অংশটি ভেঙে ফেলাই উচিত।