তৃণমূলের হাল নিয়ে প্রথম রিপোর্ট প্রশান্ত কিশোরের, স্বস্তির খবর মমতার জন্য
৪ মাসের মাথায় প্রশান্ত কিশোরের রিপোর্ট বলছে, উত্তরবঙ্গে ফিরছে তৃণমূল। ১০টির মধ্যে ৬টি কেন্দ্রে মেরামতি সম্ভব হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন : দায়িত্ব নিয়েছেন ৫ মাস হল। ৫ মাসের মাথায় তৃণমূল নিয়ে প্রথম রিপোর্ট দিলেন প্রশান্ত কিশোর। পিকের রিপোর্ট বলছে, উত্তরবঙ্গে ফিরছে তৃণমূল। এতদিন 'দিদিকে বলো' রিভিউ মিটিংয়ে জনসংযোগের বিভিন্ন পন্থা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। হারানো জমি ফিরে পেতে জনসংযোগের নতুন স্ট্র্যাটেজি নেওয়া হয়েছে। কিন্তু, প্রশান্ত কিশোর নিজে কোনও রিপোর্ট দেননি। ৫ মাসের মাথায় এবার তৃণমূল সম্পর্কে রিপোর্ট দিলেন পিকে।
২৩ মে লোকসভা নির্বাচনের ফল বের হয়। ফল বেরতেই দেখা যায় গেরুয়া ঝড়ে উত্তরবঙ্গে কার্যত ভরাডুবি হয়েছে তৃণমূলের। উত্তরবঙ্গের ২৮টি কেন্দ্রের মধ্যে মাত্র ৪টি কেন্দ্রে এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল। রাজগঞ্জ, সিতাই, শীতলকুচি ও চোপড়া-এই ৪ কেন্দ্র ছাড়া আর কোথাও সেভাবে দাগই কাটতে পারেনি তৃণমূল কংগ্রেস। এই ফলাফল চিন্তায় ফেলে দেয় তৃণমূলকে। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে যে উত্তরবঙ্গে বার বার ছুটে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সেখান থেকেই কার্যত তাঁকে ফিরতে হয় খালি হাতে। এরপরই হারের কারণ খুঁজে বের করতে দলে ভিতর 'তদন্ত' হয়। সেই তদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতে উত্তরবঙ্গে বেশ কিছু সাংগঠনিক রদবদল করা হয়।
এরপর ২৯ জুলাই থেকে রাজ্যজুড়ে শুরু হয় পিকে-র মস্তিষ্কপ্রসূত 'দিদিকে বলো' কর্মসূচি। প্রথমে বিধায়কদের টাস্ক দেওয়া হয়। তারপর কাউন্সিলর থেকে ব্লক স্তরের নেতাদেরও টাস্ক দেওয়া হয়। এখন ৪ মাসের মাথায় প্রশান্ত কিশোরের রিপোর্ট বলছে, উত্তরবঙ্গে ফিরছে তৃণমূল। মেরামতি সম্ভব হয়েছে অনেকটাই। জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারে ১০টি কেন্দ্র রয়েছে। বিচার করে দেখা গেছে ১০টির মধ্যে ৬টি কেন্দ্রে মেরামতি সম্ভব হয়েছে। আলিপুরদুয়ার ও ফালাকাটায় তৃণমূলের হারানো জমি অনেকটা উদ্ধার সম্ভব হয়েছে।
আরও পড়ুন, তৃণমূল ছাড়ুন তো, সিপিএম নেতাদের দল আনুন, দিলীপদের নির্দেশ কেন্দ্রীয় নেতার
প্রসঙ্গত, উত্তরবঙ্গের ২০টি বিধানসভা কেন্দ্র চা-বাগান অধ্যুষিত। লোকসভা নির্বাচনে হারের পর ময়নাতদন্তে দেখা গিয়েছিল সেখানে দলাদলির জন্য ভোট হারিয়েছে তৃণমূল। পাশাপাশি আদিবাসী ও জনজাতি ভোটও তৃণমূলের থেকে দূরে সরে যায়। সেই কারণে প্রত্যেক বিধায়কের কাছ থেকে আলাদা আলাদা করে তফশিলি জাতি ও উপজাতি তালিকা চাওয়া হয়। সেই তালিকা জমাও দেন বিধায়করা। তবে সেই তালিকা খারিজ করে দিয়েছেন পিকে। সূত্রে খবর, তালিকায় দলের লোক বেশি ছিল। তাই নতুন করে আবার তালিকা তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।