মেডিক্যাল কলেজের পর এবার হোস্টেলের দাবিতে অবস্থানে প্রেসিডেন্সির পড়ুয়ারা

বিবাদের সূত্রপাত গত মাসেই। হিন্দু হোস্টেলে সংস্কার চলায় বেশ কিছু পড়ুয়াকে থাকতে হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউটাউন হোস্টেলে। বিক্ষোভকারীদের দাবি, ২০১৮ সালের ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে সংস্কারের কাজ শেষ করে পড়ুয়াদের থাকার ব্যবস্থা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। সময়সীমা পেরোলেও হিন্দু হোস্টেল ছাত্রছাত্রীদের জন্য খুলে দেওয়া হয়নি। 

Updated By: Aug 4, 2018, 09:14 AM IST
মেডিক্যাল কলেজের পর এবার হোস্টেলের দাবিতে অবস্থানে প্রেসিডেন্সির পড়ুয়ারা

নিজস্ব প্রতিবেদন: মেডিক্যাল কলেজে হোস্টেলের দাবিতে বিক্ষোভ শেষ হতে না-হতেই একই দাবিতে বিক্ষোভ শুরু হল লাগোয়া প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে। পড়ুয়াদের দাবি, অবিলম্বে ছাত্রছাত্রীদের জন্য খুলে দেওয়া হোক হিন্দু হোস্টেল। সংস্কারের জন্য ২০১৫ সালে খালি করা হয়েছিল শতাব্দীপ্রাচীন এই হোস্টেল। গত ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে কাজ শেষ হতে এখনো লাগবে অন্তত ৫ মাস। এর পরই শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। 

শুক্রবার বেলা ৩টে থেকে প্রেসিডেন্সি কলেজের প্রশাসনিক ভবনে ডিন অফ স্টুডেন্ট-সহ অন্যান্য আধিকারিকদের ঘেরাও করেন পড়ুয়ারা। অবস্থান চলে উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারের অফিসের সামনেও। তবে পরে সেখান থেকে বেরিয়ে যান ডিন অফ স্টুডেন্ট ও আধিকারিকরা। 

বিবাদের সূত্রপাত গত মাসেই। হিন্দু হোস্টেলে সংস্কার চলায় বেশ কিছু পড়ুয়াকে থাকতে হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউটাউন হোস্টেলে। বিক্ষোভকারীদের দাবি, ২০১৮ সালের ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে সংস্কারের কাজ শেষ করে পড়ুয়াদের থাকার ব্যবস্থা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। সময়সীমা পেরোলেও হিন্দু হোস্টেল ছাত্রছাত্রীদের জন্য খুলে দেওয়া হয়নি। উলটে উপাচার্য একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছেন, এখনো সময় লাগবে। 

নভেম্বরে যোগদানের পর বিজেপিতে প্রোমোশন মুকুল রায়ের, দিল্লির সুনজরে জয়ও

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, জরাজীর্ণ হিন্দু হোস্টেলের সংস্কার কাজে হাত দিয়ে দেখা যায় ভবনের অবস্থা আরও খারাপ। ফলে নতুন করে অর্থবরাদ্দের প্রয়োজন হয়। সেই সব ব্যবস্থা করে সংস্কারের কাজ শুরু হয় ২০১৬ সালে। ফলে কাজ শেষ হতে কিছুটা সময় লাগবে। ওদিকে ছাত্রদের দাবি, যে অংশে সংস্কারের কাজ শেষ হয়েছে সেখানে পড়ুয়াদের থাকতে দেওয়া হোক। 

পড়ুয়াদের তরফে জানানো হয়েছে, হিন্দু হোস্টেল খুলে না দেওয়া পর্যন্ত অবস্থান চালিয়ে যাবেন তাঁরা। 
  

.