Primary Teacher Recruitment: প্রাইমারি সহ শিক্ষকের চাকরির দাম ৭.৫০ লাখ! ইডির চার্জশিটে চাঞ্চল্যকর তথ্য
ইডির তদন্তকারীগের দাবি, যাঁরা টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন এমন একাধিক ব্যক্তির বয়ানে এই তথ্য উঠে এসেছে। চার্জশিট ইডির মন্তব্য, সাক্ষীদের বয়ান থেকে এটা কাঁচের মত স্পষ্ট যে একাধিক মিডিলানকে কাজে লাগিয়ে কি ভাবে একটি গভীর দুর্নীতিগ্রস্ত সিস্টেম চলছিল। বহু ক্ষেত্রের মিডিলম্যানদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা জমা পড়ার প্রমাণ মিলেছে।

পিয়ালি মিত্র: ইডির পেশ করা চার্জশিটে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। এবার জানা গিয়েছে সাড়ে সাত লক্ষ টাকার বিনিময়ে পাওয়া গিয়েছে প্রাইমারি সহ-শিক্ষকের চাকরি। এই দাবি করা হয়েছে ইডির চার্জশিটে। টাকা দ্যে চাকরি পেয়েছেন এমন ব্যক্তিদের বয়ানে পাওয়া গিয়েছে এই তথ্য এমনটাই দাবি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের। আরও জানা গিয়েছে যে প্রার্থীদের নির্দেশ দেওয়া হয় তারা যেন ভাল করে জানা উত্তরই শুধুমাত্র উত্তরপত্রে লেখে। উত্তর না জানা থাকলে ফাঁকা ওএমআর জমা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয় তাদেরকে। জানা গিয়েছে এই নির্দেশ দিতেন মিডলম্যান চন্দন ওরফে রঞ্জন মন্ডল। একাধিক সাক্ষীর বয়ান উল্লেখ করে এই দাবি করেছে ইডি।
ইডির তরফে আরও জানানো হয়েছে যে একাধিক মিডলম্যানকে কাজে লাগিয়ে চলছিল এই নিয়োগ দুর্নীতি। তারা আরও জানিয়েছে একটি গভীর দুর্নীতিগ্রস্থ ব্যবস্থা চলছিল। একই সঙ্গে একাধিক মিডলম্যানের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা জমা পরার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে বলেও চার্জশিটে জানিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
ইডির তদন্তকারীগের দাবি, যাঁরা টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন এমন একাধিক ব্যক্তির বয়ানে এই তথ্য উঠে এসেছে। চার্জশিট ইডির মন্তব্য, সাক্ষীদের বয়ান থেকে এটা কাঁচের মত স্পষ্ট যে একাধিক মিডিলানকে কাজে লাগিয়ে কি ভাবে একটি গভীর দুর্নীতিগ্রস্ত সিস্টেম চলছিল। বহু ক্ষেত্রের মিডিলম্যানদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা জমা পড়ার প্রমাণ মিলেছে।
আরও পড়ুন: Partha Chatterjee, SSC Scam: 'মা হতে চেয়েছিলেন অর্পিতা, সন্তান দত্তকে আপত্তি ছিল না পার্থের'
অন্যদিকে পিংলার স্কুল নির্মাণের ক্ষেত্রেও অনিয়মের খোঁজ পেয়েছে ইডি। পিংলার বিসিএম স্কুল নির্মাণের ক্ষেত্রে নগদ ১৪ থেকে ১৫ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে যে এই স্কুল তৈরির টাকা দেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
আরও জানা গিয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নির্দেশে তাঁর জামাই কল্যাণ ভট্টাচার্য তৈরি করেন এই স্কুল। কল্যাণ ভট্টাচার্জের মামা কৃষ্ণ চন্দ্র অধিকারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বিভিন্ন তথ্য মিলেছে বলে দাবি ইডির। কিন্তু এই নগদ অর্থের উৎস কী তা জানার জন্য ইডি তলব করে কল্যাণ ভট্টাচার্য কে। যদিও আমেরকায় থাকা কল্যাণ এখনও ইডির কাছে হাজিরা দেননি।
কৃষ্ণ চন্দ্র অধিকারী জানিয়েছেন তাঁর নামে যে জমি কেনা হয়েছিল সেইগুলি কেন কেনা হয়েছিল সেই সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না।