জলের মিটার বসাচ্ছে কলকাতা পুরসভা, কিন্তু কেন?
দেবারতি ঘোষ
দেবারতি ঘোষ
কলকাতা পুরসভার জল প্রকল্প নিয়ে প্রশ্ন। ঋণের টাকায় প্রকল্প বাস্তবায়নে কার কী লাভ হবে বলতে পারলেন না স্বয়ং মেয়রও। ওদিকে প্রকল্পের উদ্বোধনও করে ফেললেন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়।
মঙ্গলবার টালা জল প্রকল্পে ঘটা করে ইন্টিগ্রেটেড ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের উদ্বোধন করেন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। এশিয়ান ডেভেলপমেন্টাল ব্যাঙ্কের থেকে প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ২১২ কোটি টাকা ধার করেছে পুরসভা। পাইলট প্রোজেক্টের অধীনে কলকাতা পুরসভার ১-৬ নম্বর ওয়ার্ডে জলের মিটার বসাবে পুরসভা। ওই এলাকায় ২৪ ঘণ্টা জলসরবরাহ দেবে পুরসভা। সঙ্গে পাইপে ছিদ্র চিহ্নিত করতে ব্যবহার করা হবে অত্যাধুনিক ব্যবস্থা।
কলকাতার প্রত্যেক নাগরিক পিছু দিনে ৪০ গ্যালন জল বরাদ্দ থাকে। তবে কেউ জল অপচয় করছে কি না তা মাপার কোনও উপায় বর্তমানে নেই। কারণ নীতিগতভাবে জলকরের বিরোধী কলকাতা পুরসভা শহরে কোথাও জলের মিটারই বসায়নি। আর বসালোও অতিরিক্ত জল খরচ করলে ব্যবস্থাগ্রহণ শাসকদলের নীতিবিরুদ্ধ। প্রশ্ন উঠছে, এই অবস্থায় জলের মিটার বসিয়ে হবে কী?
এই প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেননি স্বয়ং মেয়রও। পুরসভার জল সরবরাহ বিভাগ রয়েছে তাঁরই হাতে। পুরসভার পরিসংখ্যান বলছে, প্রতিদিন কলকাতা শহরে ৩০ শতাংশ জল অপচয় হয়। নতুন ব্যবস্থায় জলের অপচয়ের নির্দিষ্ট পরিমান জানা যেতে পারে, এই মাত্র।
আরও পড়ুন - রসগোল্লার আঁতুড়ঘরে পৌঁছল ২৪ ঘণ্টা
এছাড়া পাইপে ছিদ্র চিহ্নিত করার জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করতে চলেছে পুরসভা। এজন্য হিলিয়াম নির্ভর ব্যবস্থা চালু করতে চলেছে তারা। বর্তমানে পাইপে ছিদ্র চিহ্নিত করতে বিস্তর খোঁড়াখুঁড়ি করতে হয় পুরসভার কর্মীকে। নতুন ব্যবস্থায় ছিদ্র চিহ্নিত করতে পাইপে ভরা হবে হিলিয়াম। এর পর হিলিয়াম সনাক্ত করার যন্ত্র দিয়ে নির্দিষ্ট করা হবে ছিদ্রের অবস্থান। হিলিয়াম নিষ্ক্রিয় গ্যাস হওয়ায় এই ব্যবস্থায় বিষক্রিয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই।