দফায় দফায় বৃষ্টির জেরে কপালে ভাঁজ কুমোরটুলির
পুজোর আর দুমাসও বাকি নেই। কিন্তু চরম ব্যস্ততার এই সময়েই ছন্দ হারিয়েছে কুমোরটুলি। দফায় দফায় বৃষ্টির রোজনামচায় কপালে ভাঁজ বাড়ছে শিল্পীদের। আশঙ্কা একটাই, এভাবে চললে কি বোধনের আগে আদৌ শেষ হবে প্রতিমার রূপটান? হাতে আর মাত্র সাতান্ন দিন। খড়ের কাঠামোর গায়ে এখন মাটি লেপার কাজ চলার কথা পুরোদমে।
কলকাতা: পুজোর আর দুমাসও বাকি নেই। কিন্তু চরম ব্যস্ততার এই সময়েই ছন্দ হারিয়েছে কুমোরটুলি। দফায় দফায় বৃষ্টির রোজনামচায় কপালে ভাঁজ বাড়ছে শিল্পীদের। আশঙ্কা একটাই, এভাবে চললে কি বোধনের আগে আদৌ শেষ হবে প্রতিমার রূপটান? হাতে আর মাত্র সাতান্ন দিন। খড়ের কাঠামোর গায়ে এখন মাটি লেপার কাজ চলার কথা পুরোদমে।
কিন্তু কুমোরটুলি মুখ লুকিয়েছে ত্রিপল আর প্লাস্টিকের ঘোমটায়। শ্রাবণের অঝোর ধারাপাতে যখন তখন লাটে উঠছে কাজ। মাটি আর অসম্পূর্ণ কাঠামো কোনওরকমে ঢেকে অস্বস্তির অবসর কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন শিল্পীরা। ত্রিপল চুঁইয়ে পড়া জলে কখনও গলেও যাচ্ছে প্রতিমার মাটির প্রলেপ। চোখের সামনে সেসব দেখেও শিল্পীরা অসহায়।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস, এবার দীর্ঘায়িত হবে বর্ষা। বৃষ্টি চলতে পারে আরও বেশ কিছুদিন। হাওয়াবিদদের এই ঘোষণায় রক্তচাপ আরও বাড়ছে শিল্পীদের। মাটি লাগানোর কাজেরই এখন দফারফা। এভাবে চললে রঙ করার পাট চুকিয়ে প্রতিমার ডেলিভারি দেওয়া নিয়ে ঘোর আশঙ্কায় শিল্পীমহল।
মৃত্শিল্পীদের জন্য প্রস্তাবিত স্থায়ী আস্তানার কথা বারবারই ঘুরেফিরে আসছে এই প্রসঙ্গে। বাম সরকারের আমলে ওই পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করা হয়। কাজও শুরু হয়েছিল। শিল্পীদের আফশোস, সেই কর্মকাণ্ড আজও শেষ হল না।
তবুও মেঘের বুক চিরে রোদের দেখা মিললেই পরিবেশ বদলে যাচ্ছে কুমোরটুলির। নতুন উত্সাহে আবার কোমর বেঁধে নামছেন শিল্পীরা।