বড়বাজারে ব্যবসায়ী খুনের ঘটনায় রামলীলার ছায়া

বিহারের গ্রাম থেকেই শুরু বিবাদ। তার জেরে একের পর এক খুন। বড়বাজারে ব্যবসায়ী খুনের পিছনে রয়েছে এক চাঞ্চল্যকর কাহিনী। ২৪ ঘণ্টার রিপোর্ট।

Updated By: Jul 11, 2014, 11:35 PM IST

বিহারের গ্রাম থেকেই শুরু বিবাদ। তার জেরে একের পর এক খুন। বড়বাজারে ব্যবসায়ী খুনের পিছনে রয়েছে এক চাঞ্চল্যকর কাহিনী। ২৪ ঘণ্টার রিপোর্ট।

এ তো গুজরাটের রানজার গ্রামের ঘটনা। রাজাদি আর সানেরা, এই দুই গোষ্ঠীর প্রধানের পারিবারিক দ্বন্দ্ব। তার জেরে একের পর এক খুন। এরই মধ্যে দুই পরিবারের দুই সদস্যের প্রেম কাহিনী। প্রতিহিংসার লড়াই। রূপোলি পর্দার সেই গল্পই এবার বাস্তবে।

বৃহস্পতিবার রাত আটটা। ভরা বড়বাজার। আচমকা গুলি। নিহত ফল ব্যবসায়ী খুরশেদ আলম।

দুহাজার বারোর দুর্গা পঞ্চমীর সন্ধ্যা। সেদিন ভরা যমুনালাল বাজাজ স্ট্রিটে একইভাবে খুন হন খুরশেদের বাবা মহম্মদ আরিফ। খুরশেদের ছোট ভাই তাসওয়ার আততায়ীদের চিনতে পেরেছিলেন। আততায়ীরা বিহারের বেগুসরাইয়ের সৈয়দপুর গ্রামে তাঁদের প্রতিবেশী। ওয়াসি আলম এবং তাঁর তিন সঙ্গী।

শুধু খুরশেদ বা আরিফই নন, দুহাজার নয়ে খুন হয়ে গিয়েছেন খুরশেদের দাদা সোহেল। আর দুহাজার ছয়ে তাঁদের আরও এক আত্মীয়। প্রত্যেকটি খুনের পিছনেই তাঁদের প্রতিবেশী ওয়াসি আলমের পরিবার।

তদন্তে সামনে আসে, দুই পরিবারের তিন পুরুষ ধরে চলা শত্রুতার কাহিনী।

খুরশেদের পরিবারের একটি মেয়ের সঙ্গে ওয়াসির পরিবারের এক ছেলের ঘনিষ্ঠতা থেকেই এই বিবাদের সূত্রপাত। সম্পর্ক মেনে নেননি গ্রামের মুখিয়া খুরশেদের দাদু । এরপর সালিশি সভায় ওয়াসির পরিবারকে চরম অপমান। সেই থেকেই শুরু প্রতিহিংসার লড়াই। একের পর এক খুন।

খুন হন সেই মুখিয়া। সুদূর মুম্বইয়ে পাল্টা খুন ওয়াসিরের এক আত্মীয়। এরপর বেগুসরাইয়ে নিজের গ্রামেই খুন খুরশেদের দাদা সোহেল। রেশ কাটার আগেই গুজরাটে পাল্টা খুন ওয়াসিরের কাকার। এভাবেই একে একে খুন হয়ে গিয়েছে আরিফ, খুরশেদ।

তবে এখনও পর্যন্ত দুই পরিবারের কতজন খুন হয়েছেন, তা নিয়ে ধন্দে তদন্তকারীরা। ওয়াসিরের পরিবারের কেউ ধরা পড়লেই একমাত্র সংখ্যাটা জানা সম্ভব। তদন্তকারীদের মতে, দেশজুড়ে চলা এই প্রতিহিংসার লড়াই শেষ করতে শুরু করতে হবে বেগুসরাই থেকেই।

.