Rahul Gandhi Disqualified: রাহুল গান্ধীর সাংসদপদ খারিজ, বাকস্বাধীনতা নিয়ে মুখ খুললেন রাজ্যপাল
Rahul Gandhi Disqualified:এদিন রাজ্যপালের ওই মন্তব্যর পর এনিয়ে সুর চড়ালেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তৃণমূল মুখপাত্র বলেন, রাজ্যপাল একেবারে থিয়রিক্যাল কথা বলেছেন। কথাগুলো নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ শুনতে পেলে তাঁর চাকরি থাকবে কিনা সন্দেহ রয়েছে।
রণয় তিওয়ারি: লোকসভার সদস্যপদ খারিজ হয়েছে রাহুল গান্ধীর। পদবি সংক্রান্ত মন্তব্য করায় ২ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে রাহুল গান্ধীর। তার পরেই সাংসদপদ খারিজ হয়েছে ওয়েনাড়ের সাংসদের। এনিয়ে তীব্র শোরগোল শুরু হয়েছে জাতীয় রাজনীতিতে। রাহুলের সাফ মন্তব্য, আমি সাভারকার নই। আমি গান্ধী। কোনও ক্ষমা চাইব না। এবার এনিয়ে মুখ খুললেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস।
আরও পড়ুন-বিহারে থেকে এনে শিশু বিক্রির চেষ্টা, খদ্দের সেজে ৪ জনকে ধরে ফেলল পুলিস
রবিবার কলকাতা প্রেসক্লাবে রাজ্যপাল এক অনুষ্ঠানে বলেন, ভারতের মতো গণতান্ত্রিক দেশে বাক স্বাধীনতা নিয়ে কোনও আপস করা ঠিক নয়। দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, দুর্নীতিপরায়ণ নেতা,সমাজের সমনে আয়নার মতো কাজ করে সংবাদমাধ্যম। গণতন্ত্রে সংবাদমাধ্য়ম হল স্বাধীনতার একটা প্রতীক।
রাহুল গান্ধীর সাংসদপদ খারিজ হয়ে যাওয়ার পর এনিয়ে সরব হন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তৃণমূল নেত্রী লিখেছিলেন, মোদীর নতুন ভারতে বিরোধী নেতারাই কি বিজেপির টার্গেট হয়ে গেল! বিজেপির অনেক নেতার বিরদ্ধেই ফৌজদারি অভিযোগ রয়েছে। তারা এখন সংসদে রয়েছেন। বক্তব্য রাখার জন্য বিরোধী নেতাদের সাংসদ পদ চলে যাচ্ছে। গণতন্ত্র আজ নতুন নীচতা ছুঁয়ে ফেলল। অন্যদিকে, রাহুলের সাংসদ পদ চলে যাওয়ায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, গণতান্ত্রিক ভারত এক সোনার পাথরবাটি মাত্র। গণতন্ত্রের মৃত্যু হয়েছে।
এদিন রাজ্যপালের ওই মন্তব্যর পর এনিয়ে সুর চড়ালেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তৃণমূল মুখপাত্র বলেন, রাজ্যপাল একেবারে থিয়রিক্যাল কথা বলেছেন। কথাগুলো নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ শুনতে পেলে তাঁর চাকরি থাকবে কিনা সন্দেহ রয়েছে। ফলে আমি আশা করছি ২৪ বা ৪৮ ঘণ্টা পর তিনি এমন একটা মন্তব্য করবেন যাতে তাঁর চাকরির সুরক্ষাকবচ তৈরি হয়।
অন্যদিকে, এনিয়ে রাজ্য বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, তৃণমূলের কে কী বলল তাতে কারও কিছু যায় আসে না। মানুষ ওদের কথা আর বিশ্বাস করছে না। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় রাজ্যপাল যা বলেছেন তা খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হল রাজ্যপাল বর্তমানে যে রাজ্যের বাসিন্দা সেখানে সারের দাম কেন বেশি তা জানতে চাইলে জেলে যেতে হয়। কোনও ফেসবুক পোস্ট বা কার্টুন শেয়ার করলে জেলে যেতে হয়। মামলা চলে। এখানে অঘোষিত জরুরি অবস্থা চলে। এখন বর্তমান পরিস্থিতিটা তৃণমূল নিজেদের আয়নায় দেখলে একটু ভালো হয়।