মুখ্যমন্ত্রীর `বিশেষ` ক্ষতিপূরণের দাবি নস্যাৎ পুলিসমহলের
মুখ্যমন্ত্রীর গার্ডেনরিচে নিহত এসআই তাপস চৌধুরীর পরিবারের জন্য একাধিক ক্ষতিপূরণের কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাপসবাবুর পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পর মুখ্যমন্ত্রী গতকাল জানান, নিহত এসআইয়ের স্ত্রী মিনতি দেবীর জন্য বিশেষ পেনশনের ব্যবস্থা করেছেন তিনি। কিন্তু পুলিসমহলের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী যেসব সাহায্য ঘোষণা করেছেন, তা এমনিতেই নিহত অফিসারের পরিবারের প্রাপ্য। সেখানে বাড়তি কিছুই নেই।
মুখ্যমন্ত্রীর গার্ডেনরিচে নিহত এসআই তাপস চৌধুরীর পরিবারের জন্য একাধিক ক্ষতিপূরণের কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাপসবাবুর পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পর মুখ্যমন্ত্রী গতকাল জানান, নিহত এসআইয়ের স্ত্রী মিনতি দেবীর জন্য বিশেষ পেনশনের ব্যবস্থা করেছেন তিনি। কিন্তু পুলিসমহলের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী যেসব সাহায্য ঘোষণা করেছেন, তা এমনিতেই নিহত অফিসারের পরিবারের প্রাপ্য। সেখানে বাড়তি কিছুই নেই।
কিন্তু পুলিসসূত্র বলছে, এটা কোনও বিশেষ ব্যবস্থাই নয়। ১৯৮৪ সালে কর্তব্যরত অবস্থায় খুন হন ডিসি বন্দর বিনোদ মেহতা। তাঁর স্ত্রীকেও বিনোদ মেহতার পুরো বেতনই দেওয়া হোত।
পুলিসমহলের বক্তব্য, তাদের রুলবুকেই এই ব্যবস্থা করা আছে। সেখানে বলা আছে, কর্তব্যরত অবস্থায় কোনও পুলিসকর্মীর মৃত্যু হলে, তাঁর পরিবারের যে কোনও একজন সদস্য পুলিসবাহিনীতে চাকরি পাবেন।
পুলিসের বক্তব্য, সরকার নয়, বিমার টাকা দেবে জীবনবিমা সংস্থা। পুলিসের চাকরিতেই এই সুবিধা দেওয়া আছে। সেইমতো এসআই তাপস চৌধুরীও ওই বিমার প্রিমিয়াম দিতেন।
পুলিসের বক্তব্য, কর্তব্যরত অবস্থায় তাদের কোনও কর্মীর মৃত্যু হলে, নিহতের পরিবারের জন্য যেসব সুবিধার কথা বলা আছে, সরকারের অতিরিক্ত সাহায্য তারই একটা অঙ্গ।
পুলিসের বক্তব্য, এধরনের ঘটনায় এমনটা হয়েই থাকে।
তাপস চৌধুরীর পরিবারকে ইতিমধ্যেই কলকাতা পুলিসের তরফে ২ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে
স্পেশাল ব্রাঞ্চের অফিসাররা তাঁদের একদিনের বেতনের টাকা তাপসবাবুর পরিবারকে সাহায্য হিসেবে দিচ্ছেন। সেই অঙ্কটা প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা।
অর্থাত্, মুখ্যমন্ত্রী সাহায্যের যে সব কথা ঢাক পিটিয়ে বলেছেন, পুলিসের দাবি অনুযায়ী, তাতে বিশেষ সুবিধা বলতে কিছুই নেই। অফিসারদের একাংশ এর সঙ্গে আরও একটা বিষয় মনে করিয়ে দিয়েছেন। তা হল, রাজ্যে আগে যেসব পুলিসকর্মীর কর্তব্যরত অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের পরিবারের অনেকের ভাগ্যে এখনও চাকরি জোটেনি। পুলিসে চাকরির জন্য মাসের পর মাস মহাকরণ আর লালবাজার হত্যে দিতে হচ্ছে তাঁদের।