জেলে কুণালের কম্বলে ঘুম এলো না টুম্পাইয়ের
রাত পৌনে ৯টা নাগাদ সিবিআই দফতরে আসেন টুমাপাই এর পরিবার। বাড়ির থেকে আসা খাবারে ডিনার করে। সিবিআইয়ের খাবার রিজেক্ট করে। নটা নাগাদ নিয়ে যাওয়া হয় ইলেকট্রনিক কমপ্লেক্স থানায়। বাড়ির থেকে নিয়ে আসা জামাকাপড় পরে রাত নটায় যায়। গতবছর গ্রেফতারের পর কুণালের জন্য কম্বল আনা হয়। ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানায় ঠান্ডা রুখতে টুম্পাইয়ের জন্য মেঝেতে কুণালের সেই কম্বল মেঝেয় পেতে দেওয়া হয়। গায়ে দেওয়ার জন্য নতুন কম্বল হেড কোয়ার্টার থেকে। রাতের বেশির ভাগ সময় লকআপে পায়চারি করে কাটিয়েছেন টুম্পাই। ভোররাতের দিকে সেই কুণালের কম্বলে শুতে যান। কিন্তু ঘুম আসেনি।

ওয়েব ডেস্ক: রাত পৌনে ৯টা নাগাদ সিবিআই দফতরে আসেন টুমাপাই এর পরিবার। বাড়ির থেকে আসা খাবারে ডিনার করে। সিবিআইয়ের খাবার রিজেক্ট করে। নটা নাগাদ নিয়ে যাওয়া হয় ইলেকট্রনিক কমপ্লেক্স থানায়। বাড়ির থেকে নিয়ে আসা জামাকাপড় পরে রাত নটায় যায়। গতবছর গ্রেফতারের পর কুণালের জন্য কম্বল আনা হয়। ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানায় ঠান্ডা রুখতে টুম্পাইয়ের জন্য মেঝেতে কুণালের সেই কম্বল মেঝেয় পেতে দেওয়া হয়। গায়ে দেওয়ার জন্য নতুন কম্বল হেড কোয়ার্টার থেকে। রাতের বেশির ভাগ সময় লকআপে পায়চারি করে কাটিয়েছেন টুম্পাই। ভোররাতের দিকে সেই কুণালের কম্বলে শুতে যান। কিন্তু ঘুম আসেনি।
প্রেসিডেন্সি জেলে কুণাল কাণ্ডের পর টুম্পাইয়ের জন্য বাড়তি সতর্কতার ব্যবস্থা ছিল ইসিপিএসের লকআপে। দুজন পুলিসকর্মী সারা রাত বাইরে পাহারায়। থানার অন্য পুলিসকর্মীরা পালা করে চোখে রেখেছিলেন লকআপে লাগানো সিসিটিভি মনিটরে। ভোরের দিকে একটু ঘুমোন তিনি। ৬টা নাগাদ ঘুম থেকে উঠে পড়েন। পুলিস চা পানের কথা জিজ্ঞেস করতে না বলেন। রাতে একগ্লাস জলখান। সাড়ে ৬ টা নাগাদ সিবিআইয়ের লোকজন থানায় পৌছে যান। সিবিআই অফিসাররা বের করা সময় হাত ধরে বের করতে যায়। সেসময় ফোঁস করে ওঠেন টুম্পাই। গায়ে হাত দেবেন না। আমি ক্রিমিনাল নই। সিবিআইয়ের অফিসার বলেন, আমাদের দায়িত্ব আমাদের করতেই হবে। তখন বলে, আপনারা আমার পিছনে আসুন, আমি এগিয়ে যাচ্ছি। গায়ে হাত দেবেন না। পৌনে সাতটা নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সে আনা হয়। আজ সকালেও তাঁর বাড়ির লোকজন খাবার আনে। সিবিআই জানিয়ে দেয় বাড়ির খাবার আর দেওয়া যাবে না। এরপর আর প্রতিবাদ করেননি। সিবিআইয়ের দেওয়া খাবার খেয়ে দুপুরে আদালতে রওনা।
বিত্তের শিখর থেকে একেবারে লকআপের অন্ধকারে। সৃঞ্জয় বসুর গ্রেফতার গাথা এক অর্থে মহাপতনের আখ্যান। আক্ষরিক ভাবেই সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্ম। সেই টুম্পাইয়ের এখন দিন কাটছে ইলেকট্রনিক কমপ্লেক্স থানার লকআপে। ঘুমোতে হচ্ছে কুণাল ঘোষের কম্বলে।
জাহাজ, সংবাদপত্র সহ প্রায় ৫টি বড় ব্যবসা
----
কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি
----
বিপুল প্রতিপত্তি
----
রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবে ক্ষমতার অলিন্দে ঘোরাফেরা
----
বসু পরিবারকে উপরওয়ালা ঢেলে দিয়েছেন। বাদ রাখেননি কিছুই।
তবু ৩৮ বছর বয়সেই জীবনের সুদিন আর চরম দুর্দিন দেখে ফেললেন
৩৮ বছরে সোনার চামচ থেকে লকআপের অন্ধকারে। খেলা পাগল। মৃদুভাষী। অফিসে কর্মচারীদের সঙ্গে সম্পর্ক খুব ভাল। আপদে বিপদে মানুষের পাশে দাঁড়ানো। নিজে পছন্দ করেছিল সংবাদ মাধ্যম। কোনও অভাব কোনওদিন দেখেনি। প্রথম দিকে সেভাবে রাজনীতির ধারেকাছে ছিল না। বাবা টুটু বসুও রাজ্যসভার সদস্য। রাজনীতি শুরু করেছেন বস্তুত সাংসদ হয়েই। ঘনিষ্ঠমহলে বক্তব্য, বাড়ির গ্যারেজে অসংখ্য গাড়ি
গরমেও সুইত্জারল্যান্ড। এমন কোনও খেলা নেই, যার টানে ছুটে যান না বিদেশে স্বপনসাধন বসুর ছেলে সৃঞ্জয় বসু পড়েছেন ডন বসকো স্কুলে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কমার্সে পাস গ্র্যাজুয়েট। জাহাজ, সংবাদপত্র, ক্যটারিং থেকে শুরু করে
----
সংবাদপত্রে পূর্ণ দায়িত্ব।
----
ক্রসচেক করার সময় ---মেজাজ হারাল টুম্পাই। আপনারা ভুলবেন না আমি একজন এমপি। আর ৫টা ক্রিমিনালের সঙ্গে আমাকে গুলিয়ে ফেলবেন না। সিবিআই তখন পাল্টা বলে, এমপি হতে পারেন, তদন্তে অসহযোগিতা করতে পারেন না। ও তখন পাল্টা বলতে থাকে আমি সাংসদ। আপনারা বাড়াবাড়ি করছেন। এরপরই দিল্লিতে মেল এরাজ্যের সিবিআই।