SSC Scam: মাধ্যমিকের পরই সিদ্ধান্ত! ভুয়ো শিক্ষকদের চাকরি বাতিল নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য বিচারপতি বসুর
গত ২১ ফেব্রুয়ারি ৩০ জন ইন্টারভিউয়ারের রুদ্ধদ্বার সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। সেখানে অধিকাংশ ইন্টারভিউয়ার দাবি করেন চাকরিপ্রার্থীদের কোনও অ্যাপ্টিটিউট টেস্টই নেওয়া হয়নি

অর্নবাংশু নিয়োগী: স্কুল সার্ভিসে ভুয়ো প্রার্থীদের চাকরি বাতিল নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিত্ বসু। বিচারপতির বক্তব্য, রাজ্যজুড়ে এই মাধ্যমিক পরীক্ষার মধ্যে শিক্ষকদের চাকরি বাতিল হলে তার অন্যরকম প্রভাব হবে।
আরও পড়ুন-বাড়তে পারে ব্যাঙ্ক লোনে সুদ-রান্নার গ্যাসের খরচ, ১ মার্চ থেকে বদল যাচ্ছে পুরনো নিয়ম
হাইকোর্টের নির্দেশে ইতিমধ্যেই ১৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীর চাকরি বাতিল হয়েছে। শিক্ষকদের অনেকের চাকরিও এখন সুতোর উপরে ঝুলছে। এরকম এক পরিস্থিতিতে সোমবার এসএসসির নিয়োগ মামলায় বিচারপিত বিশ্বজিত্ বসু বলেন, রাজ্যে এখন মাধ্যমিক পরীক্ষা চলছে। এখন ভুয়ো শিক্ষকদের চাকরি বাতিল হলে তার প্রভাব পুরো পরীক্ষার উপরে পড়তে পারে। পরীক্ষার্থীরা সমস্যায় পড়তে পারেন। তাই এখনই ভুয়ো শিক্ষক নিয়োগ নিয়োগে কোনও নির্দেশ দেওয়া সমস্যার। মাধ্যমিক মিটলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে আদালত।
নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত করছে সিবিআই ও ইডি। নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার পার্থ চট্টোপাধ্যায়, প্রাথমিক প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি এখন জেলে। তাদের অনেকে সহযোগীকেও গ্রেফতার করেছে তদন্ত সংস্থা। ২০১৬ সালে এসএসসির নবম-দশম শ্রেণির পরীক্ষায় রাজ্যে প্রায় ১১ হাজার শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে। তার মধ্য়ে অন্তত ১০ শতাংশ বা হাজারের বেশি শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে। এমনটাই মনে করেন বিচারপতি বসু।
এদিকে, শিক্ষক নিয়োগের ইন্টারভিউতে নতুন এক তথ্য বেরিয়ে এসেছে। নিয়োগ প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে কোনও অ্যাপ্টিটিউড টেস্টই নেওয়া হয়নি। ২০১৪ সালের টেটের ভিত্তিতে ২০১৬ সালে প্রাথমিকে নিয়োগ করা হয়। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে এমনটাই সাক্ষ্য দিয়েছেন পরীক্ষকরা।
গত ২১ ফেব্রুয়ারি ৩০ জন ইন্টারভিউয়ারের রুদ্ধদ্বার সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। সেখানে অধিকাংশ ইন্টারভিউয়ার দাবি করেন চাকরিপ্রার্থীদের কোনও অ্যাপ্টিটিউট টেস্টই নেওয়া হয়নি। অর্থাত্ নিয়মনীতির কোনও তোয়াক্কা না করেই নিয়োগ করা হয়েছে। প্রকাশ্যে এল প্রশ্নত্তোরপর্বের প্রতিলিপি।
পরীক্ষকদের কী প্রশ্ন করা হয়েছিল তা প্রকাশ করেছেন মামলাকারীদের আইনজীবী। কোনও কোনও পরীক্ষাকের দাবি, অ্যাপ্টিটিউফড টেস্ট যে নিতে হবে তা তাঁদের জানানোই হয়নি। কোনও কোনও পরীক্ষার্থী অভিযোগ করেছিলেন তাদের কোনও অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট নেওয়া হয়নি। অনেকে অভিযোগ করেন খোলা জায়গায় তাদের ওই টেস্ট নেওয়া হয়। পড়িয়ে দেখানোর কোনও ব্যবস্থা ছিল না। সেই অভিযোগ এবার সত্য হল।