SSC Scam: নিয়োগ তদন্তের চাপ চরমে! অবশেষে কুন্তল ও শান্তনুকে বহিষ্কার তৃণমূলের
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বলেন, মোট ৩৫০ কোটি টাকার দুর্নীতি। ইতিমধ্যে ১২০ কোটি টাকা ইডি বাজেয়াপ্ত হয়েছে। তাহলে বাকী টাকা কোথায়, এটাই বের করার কাজ হল ইডির। কিন্তু গণমাধ্যমে তারা সূত্র ভাসিয়ে দিচ্ছেন
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ক্রমশ চাপ বাড়ছে তৃণমূলের উপরে। শিক্ষক নিয়োগ, এমনকি চাকরিতে বদলি করতেও তোলা হয়েছে টাকা। এমটাই অভিযোগ ইডির। শেষপর্যন্ত হুগলির ২ নেতা কুন্তল ঘোষ ও শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে বহিষ্কার করল তৃণমূল কংগ্রেস। মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলন করে তা জানিয়ে দিলেন শশী পাঁজা।
আরও পড়ুন-'সবকিছু মুখ্যমন্ত্রীর উপরে ছেড়ে দিয়েছি, মার্কসও ওঁরই হাতে', স্বীকারোক্তি উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর
সাংবাদিক সম্মেলনে শশী পাঁজা বলেন, কোনও দুর্নীতির সঙ্গে আপোস করবে না দল। আমাদের নির্বাচিত পদাধিকারী বা নির্বাচিত প্রতিনিধি বা তার আত্মীয় যদি দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিয়েছি। তা তিনি মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় হোক বা যুব নেতা কুন্তল ঘোষ বা কর্মাধ্যক্ষ শান্তনু বন্দ্য়োপাধ্যায় হোক। পার্থ সাসপেন্ড রয়েছেন। কুন্তল ও শান্তনুকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গ্রেফতারির ৫ দিনের মাথায় তাদের অপসারিত করা হয়েছে।
রাজ্য়ের বিভিন্ন মামলা ধারাবাহিক ভাবে চলতে থাকার মধ্যে একটা পরিকল্পনা রয়েছে। সাংবাদিক বৈঠক করে এমনটাই দাবি করলেন শশী পাঁজা ও ব্রাত্য বসু। হিমন্ত বিশ্বশর্মা যখনই বিজেপিতে চলে গেলেন তখনই নীরব হয়ে গেলেন অমিত শাহ। তাঁকে হিমন্তকে নিয়ে প্রশ্ন করা হলে শাহ বলেন, উনি কি দুর্নীতিগ্রস্থ! কেন এরকম প্রশ্ন করছেন। এরকম প্রশ্নের উত্তর দেব না। শুভেন্দু অধিকারীকে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু তিনি যখনই বিজেপির ওয়াশিং মেশিনে চলে গেলেন তখন সাতখুন মাফ হয়ে গেল। শুভেন্দু অধিকারী চাকরির সুপারিশ করেছিলেন। কিছু তো হল না! প্রসন্ন রায়ের বাড়িতে দিলীপ ঘোষের দলিল পাওয়া গেল। তিনি গ্রেফতার হননি। তাহলে উদ্দেশ্যটা তো বোঝা যায়।
এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বলেন, মোট ৩৫০ কোটি টাকার দুর্নীতি। ইতিমধ্যে ১২০ কোটি টাকা ইডি বাজেয়াপ্ত হয়েছে। তাহলে বাকী টাকা কোথায়, এটাই বের করার কাজ হল ইডির। কিন্তু গণমাধ্যমে তারা সূত্র ভাসিয়ে দিচ্ছেন। শশীদি বললেন খাপ পঞ্চায়েত করা হচ্ছে, মিডিয়া ট্রায়াল চলছে। আমাদের অপরাধ হলে আমরা ৩ বারের নির্বাচিত সরকার। গরিবের সরকার। অনেক তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করেছেন। করুন। কিন্তু বিজেপি যেসব নেতার নাম ধরে বলা হচ্ছে তাদের কি একবারও ডাকবেন না? আমাও চাই তদন্ত দ্রুত শেষ হোক। ২০১৩ বা ২০১৪ সালে সারদা মামলা শুরু হয়েছিল। নারদা মামলা হয়েছিল ২০১৬ সালে। কোনও ট্রায়াল এখনও হয়নি। তাহলে বিচার চাইলে দ্রুত ট্রায়াল হোক।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে ব্রাত্য বলেন, ওই দুর্নীতিতে তৃণমূলের কয়েকজনের যোগাযোগ রয়েছে। দশ বা পনেরো জন থাকতে পারে। তেমনি তো সিপিএম নেতারাও থাকতে পারে। বিজেপি নেতার বাড়ির লোকেরাও রয়েছে। সঞ্জীব সুকুল কার পিএ? কুণাল ঘোষের লিস্ট ধরে দেখা যাচ্ছে ৫৫ জন ভুয়ো চাকরি করছিলেন।
ওই দুই তৃণমূল নেতার বহিষ্কার নিয়ে বিশিষ্ট আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, সবটাই ভাঁওতা। জনগণের চাপে পড়ে এসব করতে হচ্ছে। ৬ মাস পরে ওই আদেশ প্রত্যাহার করে নেবে তৃণণূল। একসময় কুণাল ঘোষকেও বহিষ্কার করা হয়েছিল। পরে তাঁকে মুখপাত্র করা হয়েছে। ভবিষ্যতে কুন্তল ও শান্তনু তৃণমূলের মুখপাত্র হয়ে আসবেন।
অন্যদিকে, এনিয়ে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, এরা তো বোড়ে মাত্র। এদের কাছে যে সম্পত্তি রয়েছে তা মাত্র ১০ শতাংশ। বাকী টাকার কী হবে? এইসব ছোট চোট বন্দ্যোপাধ্যায়দের গ্রেফতার না করে বড় বন্দ্যোপাধ্যায়দের বহিষ্কার করলে কাজ হবে।