দুই বনকর্তার বিবাদ গড়াল আদালতে
দুই বনকর্তার বিবাদে, হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন প্রধান মুখ্য বনপাল এমএ সুলতান। মুখ্যসচিব সমর ঘোষ, বন দফতরের সচিব সুবেশ দাস ও প্রধান মুখ্য বনপাল সাধারণ অতনু রাহার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ করেছেন তিনি। আদালত সুলতানের অভিযোগ গ্রহণ করেছে।
দুই বনকর্তার বিবাদে, হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন প্রধান মুখ্য বনপাল এমএ সুলতান। মুখ্যসচিব সমর ঘোষ, বন দফতরের সচিব সুবেশ দাস ও প্রধান মুখ্য বনপাল সাধারণ অতনু রাহার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ করেছেন তিনি। আদালত সুলতানের অভিযোগ গ্রহণ করেছে। অতনু রাহা, সমর ঘোষ ও সুবেশ দাসের কাছে ৮ জুনের মধ্যে ব্যাখ্যা চেয়েছে আদালত। পনেরোই জুন মামলার শুনানির দিন নির্ধারিত হয়েছে।
গত বছর ১৭ জুন এমএ সুলতানকে প্রধান মুখ্য বনপালের পদে বসানোর নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তত্কালীন প্রধান মুখ্য বনপাল অতনু রাহা। সুপ্রিম কোর্টে সেই মামলা খারিজ হয়ে গেলে হাইকোর্টের রায়ই বহাল থাকে। চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি প্রধান মুখ্য বনপালের পদে বসেন এমএ সুলতান। কিন্তু, বেআইনি করাতকল বন্ধ ও বনাধিকারিকদের বদলি ইস্যুতে বনমন্ত্রীর সঙ্গে বিবাদের জড়িয়ে পড়েন তিনি। ২৫ ফেব্রুয়ারি তাঁর ক্ষমতা খর্ব করা হয়। রাতারাতি প্রধান মুখ্য বনপাল পদ সৃষ্টি করে ফিরিয়ে আনা হয় অতনু রাহাকে। এই দ্বন্দ্বে এবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন এমএ সুলতান। সুলতানের দাবি, তাঁকে হেড অফ দ্য ফরেস্ট ফোর্স করার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। কিন্তু, আদালতের সেই নির্দেশের অবমাননা করেছেন মুখ্যসচিব সমর ঘোষ, বন দফতরের প্রধান সচিব সুবেশ দাস এবং প্রধান মুখ্য বনপাল সাধারণ অতনু রাহা। আদালত সুলতানের অভিযোগ গ্রহণ করেছে। অতনু রাহা, সমর ঘোষ ও সুবেশ দাসকে ৮ জুনের মধ্যে অভিযোগের ব্যাখ্যা দিতে বলেছে হরিশ ট্যান্ডন ও প্রতাপ রায়ের ডিভিশন বেঞ্জ।
অন্যদিকে, বন দফতরের দুই কর্তার অধিকারের সীমা নির্দিষ্ট করে দিতে শুক্রবারই একটি সার্কুলার জারি করেছেন বন দফতরের প্রধান সচিব সুবেশ দাস। সার্কুলারে নির্দিষ্ট করা হয়েছে প্রশাসন, বাস্তবায়ন, বাজেট, বদলির মতো সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক দায়িত্ব থাকবে অতনু রাহার হাতে। অন্যদিকে, কাগজে কলমে হেড অফ ফরেস্ট ফোর্স হলেও, শুধুমাত্র সমন্বয়ের দায়িত্বে থাকবেন এম এ সুলতান। বনমন্ত্রীর নির্দেশেই এই সার্কুলার বলে বন দফতর সূত্রে খবর। এই সার্কুলারের মাধ্যমে প্রধান মুখ্য ফের একবার লক্ষ্মণরেখা লঙ্ঘন না-করার বার্তা দেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, দিনকতক আগেই শতাধিক রেঞ্জার ও ডেপুটি রেঞ্জারের বদলি সংক্রান্ত অতনু রাহার একটি নির্দেশ দিন খারিজ করে দিয়েছেন তিনি।