মেয়র নির্বাচনে বাধা নেই, জানিয়ে দিল হাইকোর্ট
আদালত ন্যায় বিচার দিয়েছে। মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করেছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: মেয়র নির্বাচনে আর কোনও বাধা রইল না। ৩ ডিসেম্বর নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী মেয়র পদে নির্বাচন হবে। পুর আইন সংশোধনী মামলায় পরবর্তী শুনানি ১৭ ডিসেম্বর। মামলার রায়ের ওপরেই নতুন মেয়রের ভাগ্য নির্ধারিত হবে। এই প্রসঙ্গে ফিরহাদ হাকিম বলেন, “আদালত ন্যায় বিচার দিয়েছে। মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করেছে। সিপিএম ব-কলমে বিজেপির হয়ে কাজ করছে। আদালত ওদের কথা শোনেনি।”
কলকাতা পুরসভার মেয়র পদে নির্বাচনের ক্ষেত্রে আইনি জটিলতা তৈরি হয়েছিল। প্রসঙ্গত, শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ইস্তফা দেওয়ার পরই গত বৃহস্পতিবার উর্ত্তীর্ণে কলকাতা পুরসভার মেয়র হিসাবে ফিরহাদ হাকিমের নাম ঘোষণার পরই রাজ্যে বিরোধীমহলে বিতর্ক দানা বাঁধে। এতদিন পর্যন্ত কলকাতা পুরসভায় মেয়র হতে গেলে কাউন্সিলর হওয়া বাধ্যতামূলক ছিল। কিন্তু শোভনের পরিবর্তে যোগ্যতম মেয়র হিসাবে ফিরহাদের নাম মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করায়, কলকাতা পুরসভায় সংশোধনী বিল আনা হয়। গত ২২ নভেম্বর বিধানসভায় কলকাতা পুরনিগম সংশোধনী বিল পাশ করে করে। আর এই ইস্যুকে কেন্দ্র করেই বিরোধিতায় নামেন বামেরা।
আরও পড়ুন: আমার নামেই সমস্যা, মনোনয়ন জমা দেওয়ার ঠিক আগেই বিস্ফোরক ফিরহাদ
পুরআইনের সংশোধনী বিল বেআইনি বলে বিরোধিতা করেন বামেরা। তাঁরা হাইকোর্টে মামলা করবেন বলে হুঁশিয়ারিও দেন। সম্প্রতি ৭৫ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম কাউন্সিলর বিলকিস বেগম হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন। হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাকের এজলাসে বিধানসভার বিলকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ, ১৯৮০ সালের পুরনিগম আইনে বলা হয়েছে, মেয়র হতে গেলে কাউন্সিলর হওয়া বাধ্যতামূ। বিলেও এও বলা ছিল, বহিরাগত কেউ মেয়র হতে পারবেন না। বিধানসভাতে নতুন সংশোধনীতে বলা হয় যে, যে কোনও ব্যক্তি মেয়র হতে পারবেন, তবে কলকাতার ১৪৪ টি ওয়ার্ডের মধ্যে থেকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় তাঁকে নির্বাচনে বিজয়ী হতে হবে। এই বিষয়টিকেই চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা করে সিপিএম। এদিন সেই মামলারই শুনানি ছিল। তবে আদালত এদিন জানিয়ে দেয়, মেয়র পদে নির্বাচনের ক্ষেত্রে কোনও বাধা নেই।