দুয়ারে তরজা, সিপিআইয়ের রাজ্য সম্মেলনে তুলকালাম হাতাহাতি!
সূত্রের খবর, স্বপন ব্যানার্জি বলেন কেন্দ্রীয় নেতাদের সিদ্ধান্ত মানতে না পারলে বেরিয়ে যান। শ্রীকুমার মুখার্জিকে এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, কমিউনিস্ট পার্টিতে অভিমানের কোনও জায়গা নেই। তিনি আরও বলেন, ‘আমি চেয়েছিলাম সংবিধানটা মেনে চলা হোক। সেন্ট্রাল লিডারদের সামনে যা হয়েছে সেটা কতটা ঠিক সে নিয়ে প্রশ্ন থাকবে।
মৌমিতা চক্রবর্তী: হবার কথা ছিল ভোটাভুটি। কিন্তু শেষে হল হাতাহাতি। সিপিআই এর রাজ্য সম্মেলন থেকে কার্যত রেগে বেরিয়ে গেলেন শ্রীকুমার মুখার্জি, প্রবীর দেব, মধুছন্দা দেব সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। যদিও কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিও উত্তেজনা কমাতে পারেনি। ডি রাজা উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও এই বাহিনী সরব ছিলেন ভোটের দাবিতে। জানা গিয়েছে সিপিআই এর রাজ্য সম্পাদক হিসাবে স্বপন ব্যানার্জীকে মানতে একেবারেই নারাজ তারা। উত্তপ্ত বাদানুবাদ হয় রাজ্য সম্মেলনে। প্রথম দিন থেকেই বিরোধী প্যানেলকে প্রেসিডিয়ামে রাখা হয়নি বলে অভিযোগ। অন্যদিকে স্বপন ব্যানার্জির নেতৃত্বে ৮১ জনের বিরুদ্ধে পাল্টা প্যানেল দেন শ্রীকুমার মুখার্জি। শ্রীকুমার মুখার্জি গোপন ভোটের দাবিও জানান। কিন্ত ডি রাজা সোজাসুজি জানিয়ে দেন, দলের এই মুহূর্তে যা পরিস্থিতি তাতে গোপন ভোট হলে ভুল বার্তা যাবে।
সূত্রের খবর, স্বপন ব্যানার্জি বলেন কেন্দ্রীয় নেতাদের সিদ্ধান্ত মানতে না পারলে বেরিয়ে যান। শ্রীকুমার মুখার্জিকে এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, কমিউনিস্ট পার্টিতে অভিমানের কোনও জায়গা নেই। তিনি আরও বলেন, ‘আমি চেয়েছিলাম সংবিধানটা মেনে চলা হোক। সেন্ট্রাল লিডারদের সামনে যা হয়েছে সেটা কতটা ঠিক সে নিয়ে প্রশ্ন থাকবে। তবে কমিউনিস্ট পার্টিতে ছিলাম, আছি, থাকবো। অনেকে ভোট চেয়েছিলেন সেটা হয়নি’। অন্যদিকে পুনর্নিবাচিত সিপিআই রাজ্য সম্পাদক স্বপন ব্যানার্জী জানান, ‘উনি কি বলছেন জানিনা। দলের মধ্যে মতবিরোধ থাকে। তবে মিডিয়ার সামনে মুখ খোলাও সংবিধানবিরোধী’।
এর আগে একই রকম ঘটনা আমরা দেখেছি সিপিআইএম-এর বিভিন্ন সম্মেলনে। বিশেষ করে উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা কমিটির সম্মেলনেও দেখা যায় সমস্যা।
আরও পড়ুন: Abhishek Banerjee: 'সুপ্রিম' স্বস্তি অভিষেকের, থাকছে রক্ষাকবচ, যেতে পারবেন বিদেশেও
পার্টির উত্তর ২৪ পরগণা জেলা কমিটির সম্পাদকমন্ডলী তৈরির সময় শুরু হয় সমস্যা। জানা গেছে প্রায় দশ ঘন্টা চলে বৈঠক। উত্তর ২৪পরগনা জেলার সম্পাদকমন্ডলীর বৈঠকে চরমে ওঠে সমস্যা। বয়সের ফর্মুলা মেনে এইবার সম্পাদকমন্ডলী থেকে বাদ পড়লেন গৌতম দেব এবং নেপাল দেব ভট্টাচার্য। অন্যদিকে তন্ময় ভট্টাচার্য, বাবুল কর, আহমেদ খান নিয়ম ভেঙ্গেই থেকে গেলেন সম্পাদকমন্ডলীতে। হোলটাইমার না হওয়া সত্ত্বেও এই তিন নেতা থেকে গেলেন সম্পাদকমন্ডলীতে।
পাশাপাশি প্রশ্ন ওঠে সর্বক্ষনের কর্মী হয়ে একদিনেই কোন ফর্মুলাতে সত্যসেবী কর সেক্রেটারিয়েট মেম্বার হন? এই অভিযোগে দলের অন্দরে চিঠি জমা দেন উত্তর চব্বিশ পরগনারই একাংশের সিপিআইএম কর্মী। অভিযোগ ওঠে বাবুল করকে দলের তরফে আমন্ত্রিত সদস্য করা হয় তাই এই গিফট দেওয়া হয়েছে। এই প্রশ্ন তুলেই বেশ কিছু চিঠি জমা পড়ে দলের অন্দরে।