Abhishek Banerjee: অভিষেকের 'সুপ্রিম' স্বস্তিতে বহাল রক্ষাকবচ, যেতে পারবেন বিদেশেও
Abhishek Banerjee: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের আইনজীবীরা অভিযোগ করেন যে, তাঁকে অযথা হেনস্থা করছে ইডি। চিকিৎসার জন্য বাইরে যেতে দিচ্ছে না। তাঁকে বার বার ডাকাডাকি করছে। তাঁকে মানসিকভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে।
জ্য়োতির্ময় কর্মকার: বড় স্বস্তি অভিষেকের! বজায় রইল অভিষেকের 'সুপ্রিম' রক্ষাকবচ। একইসঙ্গে মিলল বিদেশ ভ্রমণের অনুমতিও। বিদেশ যেতেও কোনও বাধা রইল না অভিষেকের। আজ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চেই ছিল শুনানি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের বিরুদ্ধে এখনই কোনও ব্যবস্থা নিতে পারবে না ইডি। অর্থাৎ অভিষেকের বিরুদ্ধে কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া বা তাঁকে গ্রেফতার করা যাবে না। আজকে ফের একবার স্পষ্ট করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। আজ শীর্ষ আদালতে অভিষেকের ইডি হাজিরা নিয়েই মামলার শুনানি ছিল। একইসঙ্গে আজ আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। অভিষেকের বিদেশ ভ্রমণের উপরও কোনও 'এমবার্গো' বা নিষেধাজ্ঞা থাকছে না। সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট জানিয়েছে যে, বিদেশ যেতে পারবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
প্রসঙ্গত, কলকাতায় সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি দফতরে হাজিরার দিনই সুপ্রিম কোর্টের তরফে রক্ষাকবচ পান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয় যে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের বিরুদ্ধে এখনই কোনও পদক্ষেপ নয়। আগামী সোমবার পর্যন্ত অভিষেকের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না। অর্থাৎ তাঁর বিরুদ্ধে কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না। বা তাঁকে গ্রেফতার করা যাবে না। জানায় সুপ্রিম কোর্ট। সেই সময়সীমা পেরনোর পরই আজ ফের সুপ্রিম কোর্টে মামলাটি ওঠে। শুক্রবার শীর্ষ আদালতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের আইনজীবীরা অভিযোগ করেন যে, তাঁকে অযথা হেনস্থা করছে ইডি। চিকিৎসার জন্য বাইরে যেতে দিচ্ছে না। তাঁকে বার বার ডাকাডাকি করছে। তাঁকে মানসিকভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে। এরপরই এদিন শুনানির পর সুপ্রিম কোর্ট অভিষেককে বাইরে যাওয়ার অনুমতি দেয়। ফলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের বাইরে যাওয়ার আর কোনও বাধা রইল না।
উল্লেখ্য, শুক্রবার যখন সুপ্রিম কোর্টে অভিষেকের ইডি হাজিরা নিয়ে মামলার শুনানি চলছিল, তখন অন্যদিকে কলকাতায় ইডি দফতরে ম্যারাথন জেরা চলে অভিষেকের। টানা সাড়ে ছয় ঘণ্টা জেরার পর সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বের হন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়েই বিস্ফোরক অভিষেক পাচারকাণ্ডে কাঠগড়ায় তোলেন শুভেন্দু অধিকারীকে। অভিযোগ করেন, '৮ মাস আগে পাচারকাণ্ডে ফেরার বিনয় মিশ্রের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তোমার কেস দেখে নেব বলে আশ্বাস দিয়েছেন শুভেন্দু। সঠিক সময়ে ফোন রেকর্ড প্রকাশ্যে আনব'। একইসঙ্গে বলেন, 'দু'বছর ধরে তদন্ত চলছে। গতকাল সমন হাতে পাই। তৃতীয়বারের জন্য হাজিরা দিলাম। আমায় যখন হাজিরা দিতে বলেছি, হাজিরা দিয়েছে। আমার স্ত্রীকেও এর আগে ডাকা হয়েছে। প্রতিবারই নিটফল শূন্য। সিবিআই, ইডি-র কাছে মাথা নত করব না।'