ফের ভুল চিকিত্সার নজির কলকাতার সরকারি হাসপাতালে, কোনও মতে প্রাণ বাঁচল শিশুর
ছোট্ট শিশুর গলায় আটকে রয়েছে প্লাস্টিক। কিন্তু চিকিত্সা হল সর্দির। ভুল চিকিত্সায় শিশুর মরোমরো অবস্থা। সরকারি শিশু হাসপাতালের বিরুদ্ধেই চিকিত্সায় বড়সড় গাফিলতির অভিযোগ। দেড়বছরের আলফাজকে চিত্তরঞ্জন শিশু হাসপাতালে ভর্তি করেন তার পরিবার। ডাক্তাররা পরীক্ষা করে বলেন বুকে কফ জমেছে। দাওয়াই হিসাবে নেবুলাইজেশন আর ওষুধ দিয়ে শিশুকে ছেড়ে দেয় হাসপাতাল। কিন্তু বাড়ি ফিরে সেই একই সমস্যা। পরদিন ফের হাসপাতালে ছুটতে হয় আলফাজের বাবা, মাকে। আবার সেই একই চিকিত্সা। নেবুলাইজেশন আর কিছু ওষুধ দিয়ে ফিরিয়ে দেওয়া হয় শিশুটিকে। কিন্তু রাত থেকেই শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে আলফাজের।

ওয়েব ডেস্ক : ছোট্ট শিশুর গলায় আটকে রয়েছে প্লাস্টিক। কিন্তু চিকিত্সা হল সর্দির। ভুল চিকিত্সায় শিশুর মরোমরো অবস্থা। সরকারি শিশু হাসপাতালের বিরুদ্ধেই চিকিত্সায় বড়সড় গাফিলতির অভিযোগ। দেড়বছরের আলফাজকে চিত্তরঞ্জন শিশু হাসপাতালে ভর্তি করেন তার পরিবার। ডাক্তাররা পরীক্ষা করে বলেন বুকে কফ জমেছে। দাওয়াই হিসাবে নেবুলাইজেশন আর ওষুধ দিয়ে শিশুকে ছেড়ে দেয় হাসপাতাল। কিন্তু বাড়ি ফিরে সেই একই সমস্যা। পরদিন ফের হাসপাতালে ছুটতে হয় আলফাজের বাবা, মাকে। আবার সেই একই চিকিত্সা। নেবুলাইজেশন আর কিছু ওষুধ দিয়ে ফিরিয়ে দেওয়া হয় শিশুটিকে। কিন্তু রাত থেকেই শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে আলফাজের।
আরও পড়ুন- 'কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে', প্রতিশ্রুতি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের সুপারের
এরপর আর কোনও ঝুঁকি না নিয়ে সন্তানকে নিয়ে SSKM-এ ছোটেন আলফাজের পরিবার। ভর্তি করা হয় এমারজেন্সিতে। পাঠানো হয় ENT বিভাগে। সেখানেই ধরা পড়ে আসল গলদ। পরীক্ষা করে চোখ কপালে চিকিত্সকদের। যাকে বুকে কফ জমার সমস্যা মনে করেছিলেন চিত্তরঞ্জনের শিশুবিশেষজ্ঞরা তা একেবারেই ভুল। দেড় বছরের শিশুর শ্বাসনালীতে আটকে রয়েছে একটুকরো প্লাস্টিক। প্লাস্টিক ভেদ করে অক্সিজেন পৌছতে পারছে না ফুসফুসে। শুরু হয় অপারেশন। গভীর রাত পর্যন্ত চলে অস্ত্রপচার। শ্বাসনালী থেকে বের করা হয় লাল রঙের প্লাস্টিকের টুকরো। খাওয়ার সঙ্গেই যা কোনওভাবে গলায় বিধে গিয়েছিল। প্লাস্টিক বের করার পরেই ক্রমশ সুস্থ হয়ে ওঠে আলফাজ। SSKM-এর ENT বিশেষজ্ঞদের দাবি, আর একটু দেরি হলেই ঘটে যেত ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা। মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারত আলফাজের। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখে তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন চিত্তরঞ্জন শিশু সদনের অধ্যক্ষ সুতপা গাঙ্গুলি।